Saturday, July 19, 2008

তাহার একটি কবিতা চাই

আমি ক্রমশঃ সরীসৃপ হতে থাকি যখনি
সে ছোঁয় ; ছোঁয় লাল-হলুদ ফুল ।

সে ধীরে ধীরে কাছে আসে
আসে বুকের গহীনে
উষ্ণ হতে থাকা কেশরজুড়ে হেঁটে যায়
দীর্ঘ চন্দ্রিমায়
দেয়ালে টাঙ্গানো সবুজ পাতার মতোই
সে ছুঁয়ে যায়
এলায়িত চাঁদর ; ওপারে তাহার নির্ঘুম রাত
ছেড়ে আসে বৃষ্টির শব্দ
রিম ঝিম প্রলয় নৃত্যে ক্রমশ
লেপ্টে থাকা
ত্বকে ত্বক

চুম্বনে জেগে থাকে
কতকাল ধরে শুয়ে থাকা তাহার নিশ্বাস
যুবতী রাতের ঘনত্বে
সে অতঃপর ছোঁয় ; ক্রমশ কথা বলে
একাকী একটি কবিতা হাটঁছে ভরাট বৃত্তজুড়ে-

এবং
কখনো কিংবা এখনো
কবিতা তাহার চাই ; অথচ আমি
ফুল আঁকি লাল-হলুদ এবং তাহার প্রজ্জ্বলনজুড়ে আমার প্রশস্থ হতে থাকা
হাতেরা
হতে থাকা সরীসৃপ
পার করে
উপত্যকা

জলডুবি হতে অন্যত্র ঘাঢ় হতে থাকা সবুজে
আজো তাহার একটি কবিতা চাই এবং আমার লাল-হলুদ...

Wednesday, July 16, 2008

Erosion – 3

Erosion – 3

Gathering blackness, queries a lot
Dancing all around yellow fragrance; slowly slowly

Doors are open whilst rainbow is at hand
To her ; herself

Mixing whole night in a bundle
Night birds are unzipping all the stitch;
windows and covers weaving each other

In every clips, in every texture loosing strength
an old leaf fallen down

I touch the dew ; darkness
Though willing are fruitless they come
in drawing huge flies

Erosion-2

Erosion – 2
Sharp Sunshine ; I become anxious
Sharpened me while it touches
the ground

Like homeless lives, I search forever and forever

Blue ; blue feelings always
Walking around

Always sliding doors are crawling
Crawling ever now and then

Kindly me; myself kind while waking up
After long night sleepless; sleeveless
From deadly bed

Changing everything; changing backbone slowly
Steadily this side and that
Every time looking at decay

-Decay altering the sides, my feelings and herself towards

Erosion-1

Erosion - 1

With a scholar eye I am looking at-

Looking at Sharpened Dream,
Burning heart burning across
feeling the sour, feeling the layer

Is being wet tongue, gradually uncovered
vibrating lips and stick while mixing at liquor

- A chemical compound searching for eyes
- Searching liberty from sin
- Burning the recipe of purity

I am chewing all the glamour with tortured eyes
Breathing fragrance; breathing easily passing days and nights

Easily being tortured, even told her

As its an erosion ; it’s a feelings

Saturday, July 12, 2008

তাহার জ্বরতপ্ত দেহে প্রবেশ

আমি বৃষ্টির মত ক্রমাগত ঢুকে পড়ছি
আনাচে কানাচে ; তাহার

তার জ্বরতপ্ত দেহের আনাচে কানাচে রক্তকণিকারা হেঁটে যাচ্ছে আর
সে

ঝুল বারান্দায় রাত্রির পালাবদল
অনুভবে
অযথা ভ্রান্তিবিলাস মুদিত হতেছে জেনে

অতপর পার হয় পরছায়া মরচে ধরা আবরনে
ধীরে ধীরে কায়স্থ প্রসাধনে
কমে যায় ঘন ঘন পুরুত্ব

আরো ; অধিক আরো

দীর্ঘকায় বাদলা দিবসে আজ নেমে আসতেছে পানীয় জলের গতিপথ
কষেরুকা ভেঁজে; ফোঁটা ফোঁটা হতে হতে
দূর পাহাড়িকা অস্তে সূর্য ডুবি ডুবি
তবুও
আমি তাহার জ্বরতপ্ত দেহে বেদনা আঁকি ;

সে জানে না

সে জানে না।

ও হারাচ্ছে অনেক কিছুই, ঘৃনা কিংবা দূরত্ব
ও হারাচ্ছে নিজেকেই ; তবুও জানে না তীব্রতায়

ক্রোধে আর অসি'রতায় ভেঙ্গে পড়ছে অনু-পরমানু
নিউক্লিয়াস জুড়ে গড়ে উঠছে
দেয়ালের পর দেয়াল

একটা উপ-দেয়াল নিয়ে কথা বলছিলাম কয়েকদিন আগে
এক দুপুরে, বৃষ্টি হচ্ছিল মূষলধারে

বৃষ্টির সাথে সাথে ধোয়া হয়ে উড়ে যায় সব কথা
রাগ, মান এবং তাহার অসি'রতা তবু্‌ও

ও হারাচ্ছে অনেক কিছুই যতটা সে জানে না কিংবা
র্বষা শেষের গান
শুনছে অন্যত্র

একটার পর একটা ইটের গাঁথুনি হয়ে আসে শীর্নকায়
কেউ জানে না

হলুদ মাটির মিথ

বৃষ্টি হয়ে গেলো, তাই থেমে গেলো হলুদ মাটির মিথ

একদিন কথা ছিলো তারহীন তরঙ্গে পার করে
দেবো অথৈ তারল্য

অবিকল এঁকে নেবো প্রজাপতি ;

ভাবছি প্রতিবার বদলে নেবো অসি'র ঘনত্ব
ক্রমাগত ক্ষয় হয়ে যাওয়া
অসি' মজ্জায় ; মেশাবো হলুদ মাটি

জ্বলে উঠা ফ্লোরোসেন্ট হঠাৎ নিভে যাবে বলে
ঊঠে দাড়ায়
অশীতিপর সন্ধ্যা ; তাহার কাছে নুয়ে আসে
অবিকল

কল কল ধ্বনি মধুরতর হতে থাকে যতটা
বাড়ে বৃষ্টির ঝাপ
অদূরে ঝাপটায় রঙ্গিন ডানা ক্রাশল্যান্ডিং হবে বলে

পীচ ঢালা রাজপথ জুড়ে অশনি সংকেত নিয়ে বয়ে যায়
হলুদ মাটি

ক্ষনে ক্ষনে ক্ষয়েছে তাহার জলছাপ

দীর্ঘশ্বাসে বদলে যায় রুপরেখা

দীর্ঘশ্বাসে বদলে যায় রুপরেখা যাহার হাতে আজ সর্প্তষিমন্ডল
অথচ
র্নিভুল আনন্দে প্রতিপাদ বদলে যায়

যেতে থাকে ক্রমশ হিমবাহে ; একটা ভাঙ্গন চলে গেছে
ছেদ করে তাহার হস্তরেখা কতিপয়
দূর্ধষ রাতের শেষে
অপয়া ঘড়ির কাঁটায় আমি খুঁজি নিস্তেজ স্পন্দন

কমে আসা রাতের গভীরতায় শুনি ওর শীৎকার
থেমে থেমে
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হতেছে লাগোয়া পড়শীর করিডোরে
প্রতি পদে কষ্ট বেদনা হেঁটে আসে

বার বার চন্দ্রিমা দেখি
অথচ আসে আসে অনাহুত অরিন্দমে ; যতবার বলি
নিস্তব্ধ সময়ের নিষেধ শেষে চলে যাবো
মৃত্তিকার কাছে ততবার
ইথারে ভেসে আসে তাহার স্বর ; তার

স্বরলিপি বাঁজে ক্রমে ক্রমে তরঙ্গায়িত বুননে
এবং
স্বপ্নীল প্রসারনে উড়ে যায় সেই পাখি

তাহাকে এবং ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি

অসংখ্য মেঘলা আকাশ হতে উঁকি দিয়ে যাচ্ছিল পূর্ণিমা
এবং

চন্দ্রিমা নিজ হাতে হাত রেখে
নিশ্চুপ
কিছু গান শোনা থেকে বিরত
রেখেছিল তাহার আশাংকা
তথাপি

বলা হয়নি দ্রুততর ক্ষয় হয় টানাপোড়নের বন্ধন
হতে হয়
যে কোন ঝড়ের রাতে ; প্লাবিত প্রকোষ্ট জুড়ে
নেমে আসে পাহাড়ী ঢল কিংবা
ক্রমশ ক্রুশবিদ্ধ লোকেরা ঘিরে রাখে
বাসযোগ্য স্বপ্নের আড়ালে

তবুও আজো ভালবাসি

তাকে ; তাহাকে এবং ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি

যতটা রেইনকোট লেগে আসে দেহের আবহে ; কাছে
আরো কাছে - তবুও ভয় হয় প্রতিটি পদক্ষেপে মেঘ আসে
ঘনো হয়ে
আরো ঘনো - ঘনত্বের কাছাকাছি একটি চাঁদ

যতটা কালো ছিল তার চেয়ে বেশি স্নিগ্ধতায়
ধীরে ধীরে
পার করে ; বহু দূর যেতে হবে
জানি শুধু

সাবলীল লাবণ্যে বিকেল ঘনালে
মেঘেরা আজ চুপিসারে সরে গেছে অন্যত্র পরিসীমায়

প্রথম আষাঢ়

আমি প্রথম আষাঢ় ছুঁয়েছি অবলীলায়
এবং
তাহার ফেলে যাওয়া
প্রচ্ছন্নতায় বার বার খুজেঁছি অস্পষ্ট মেরুকরন
নামতেই তুলে নেই বিন্দু ; অন্য বিন্দু হতে বিন্দুন্তর ঘটেছে
পালাবদল ; ঋতুবদল অনুভবে দীর্ঘকায় প্রচ্ছদ

আমি ধীরে ধীরে ছুঁয়েছি তাহার পরিচ্ছদ
এবং
অসামান্য মুগ্ধতায় একটি পোড়া বাড়ী
পেট্রল পুড়েছে যেখানে যত্রতত্র

অহরহ

গলেছে সীসা ; গ্যাসোলিন আগুনে বার বার জ্বলেছে জোনাক
তবু ও

কাঁপছে হৃদয় ; ক্ষরন হতে অন্য ক্ষরন দিনান্তে
রিম ঝিম বৃষ্টিতে বেড়েছে ঘনত্ব
যেমনটা ভিঁজে গেছে অপরাজিতা

আমি ছুঁয়ে নেই তাহার রুপালি নুপুর
যখনি
এই অন্য বেলায় একাকী একজন সরে যেতে থাকে
ক্রমশ
দূর বৃষ্টি পাতনে

সেখানেই সেই প্রিয়ঙবদা

বহুদিন পর এক রাতে নেমেছিল জল,
শীতল
তাই দেখা হল তার; তাহার নয়ন
ভিজে ভিজে

শুনেছিল যে সাগরের কথা ; অন্য কথোপকথন

আমি পার করে ফেলি
বিধ্বস্থ ফুটপাতে
অঘোরে কম্পন

নিরবে হাটু অবধি
জলে
অস্বস্থির
পরে পরে

যে স্বস্থি ; স্তুতির রুপকথা

সেখানেই সেই প্রিয়ঙবদা
ধীরে ধীরে
টলমল
কচুপাতা হয়ে
নিঃস্ব হতে থাকে উত্সহীনতায়

যখনি শুনছি তাহার ক্রন্দন ; কেয়ারল্যাস হুইসপার

অনেকগুলি পৃষ্ঠা বদল ঘটে যায় জানালা পর্দা সরতেই
উন্মুক্ত গাথুনিজুড়ে
ক্রিয়ায়

অহরহ সুরে সুরে রাত্রি যাপন ; টিনের চালে
কাত হয়ে থাকা ব্যাথা ; মৃদু স্বরে

দূর কোন বসতিতে
এক নিশাচর পাখি প্রহর গোনে
মৃত্তিকা ক্ষয়ের-

বিপথগামীতায় ক্ষয় হয় দৃষ্টিলোকের

রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে হতাশ চোখ
লঘু ছাপ রেখে গেছে আনমনে
বহু তীব্র যাতনায়
বিষন্ন প্রকৃতি
জেগেছে আজ নিদ্রাহীন রাত; পলকে পলকে
পর হয়ে যাওয়া পরবাসী
মধুচন্দ্রিমা শেষে
অথচ
সমান দুরত্বে হেঁটে যায় ঝড়ো হাওয়া
তান্ডবে তান্ডবে
আগুন্তুক স্বপ্নের আড়ালে
ভরা মৌসুম
চৌচির মাঠ পেরিয়ে অসংলগ্ন মৃত্তিকায়
গৃহবন্দী হয়েছে যে আলো
জানালার ওধারজুড়ে
তাহার আধার পতন

-বলে গেছে সেই জন

এই জনান্তিকে কৃষ্ণচূড়া ডালে
রসনাবদ্ধ পায়রারদল জেনে যাবে
একদিন তাহার হবে - তার হবে

তবুও বিপথগামীতায় ক্ষয় হয় দৃষ্টিলোকের ;
অমসৃন সান্ধ্যবাতি জ্বলছে ক্রমাগত
শুভ্র সকাল জুড়ে

সংকোচে - নিসংকোচে

আমি কোন কথাই বলতে চাইছি না

আমি কোন কথাই বলতে চাইছি না
তবুও শতাধিক হাড়ে
হারছি প্রতিনিয়ত
উলম্বরেখায়

ধারাপাতে
অনুপাতে
এবং
ভুমিধ্বসে

ক্রমশ জ্বলছে লাল লাল বাতি ; নিয়ন বাতি
নিভু নিভু

উপশহরব্যাপী

আমি কোন কথা না বলে গণনা শুরু করি হাড়সমেত

অনেকটা আধার রাত্রিতে মোমক্ষয় হতে
গলতে শুরু করা
সম্পর্কের আধাঁরে

যদিও একটা হিম হিম ভয় ; ছোয়ঁ

ছুয়েঁ ছুয়েঁ পুরোনো পত্রিকার পাতা
চুপি চুপি রেখে দেই
কার্নিশে
গুনতে শুরু করা ইনসুলিন বেদনায়
আহত

অতপর
ধীরে ধীরে
ঘামতে থাকি এবং পুড়ে ফেলি অনেকগুলি পৃষ্ঠা

যে পৃষ্ঠায় কোন আর্দ্রতা থাকে না ;
থাকে না কোন আকিঁয়ের হাতের জলছাপ

ক্রমশ তার ডান হাত স্পর্শ করি

অবলীলায় হাতছানি দিয়ে যায় যার ডান হাত,
তার কাছে লুকোচুরি
স্বপ্নের ; পরবাসী এক চলাচলে
অবশ হতে থাকে যে স্ফীত অনুভূতি

তার থেকে দূরে সিড়ি বেয়ে নেমে পড়েছে
যে অপয়া সন্ধ্যা ; গভীরতর হতে থাকে
ক্রমশ তাহার ক্ষয়ানুভূতি

-শীতল স্পর্শে আইসকিউব হতে থাকে উষ্ণ

কিউব ভেবে কখনই তার হাত ছুঁয়ে নেই
কখনো গলনাঙ্কে চুষে নেই
সবুজ কমলা ;

জিজ্ঞাসায় জেনে নেই আজ রাত্রিবার
আবার আসবে ফিরে কোন সেই প্রলোভনে
অকপটে টেনে আনি ; আরো কাছে

ক্রমশ তার ডান হাত
স্পর্শ করি-

দূর হতে অনুভবে যেমনটা

অসময়ে পেয়াজেঁর ঝাঁঝ হ্রাস হতে থাকে
নোনা জলে

পিপাসায় অথবা করিডোরজুড়ে জোনাকী পোকা
জ্বলে জ্বলে

আলো জ্বলে যতটা আধাঁর নেমেছে সামিয়ানা জুড়ে
তেলেরা যতটা আগুন হয়
ঠিক ততটায় কাসুন্দি ঘাটি
তবুও
রোজকার মতো
খুলে ফেলা বইয়েরা

পাতায় পাতায়
মুদেঁ আসে রাত্রিবিহীন

তাহার এবং তার
রিনিঝিন শব্দে
গেঁথে যাওয়া পাজঁরে চিন চিন করে উঠা

দূর হতে অনুভবে যেমনটা
ক্ষীন হয়ে আসে ক্রমশ
সপ্তর্ষি আলো

মনে পড়ে আজ আটাশ

আমি নিরালায় মুছে নেই নির্বোধ কর্ণিয়া
অতপর
নেমে এলে বৃষ্টিগুলো থেমে যায় স্বপ্ন
ধীরে ধীরে পাটাতনে
পড়ে পড়ে ফোঁটা

অনেকগুলো

ঝড়ো হাওয়া বইলেই মনে পড়ে আজ আটাশ
তবুও বিস্মৃতি

তাহার এবং আমার - প্রতিবার বার বার

ক্ষয় হওয়া প্রান্তরে বালিকা বদল, নদীর তট জুড়ে উন্মাদ পায়চারি
নেমে এলে বৃষ্টি থেমে থেমে সরে যায় রোদেলা
বৃহস্পতি

তবুও একটা দেবদারু জেগে থাকে সারিবদ্ধ কৃষ্ণচূড়ায়

বুকের গভীরে ক্ষরন

গহীন পাললিক ভুমি জুড়ে
তপ্ততায়
জেনেছে সবাই......

রাতের অন্ধকার ঘনালে দ্রুত নেমে আসে
ভিন্নতা

একেঁ নেয়া নিরক্ষরেখা ও
কক্ষপথজুড়ে বিশাল শুণ্যতায় নিয়ত
তাকে বলি, আমি নির্বোধ অথবা নিশ্চুপ
যতটা
দেয়ালজুড়ে সাদা-কালো
বুকের গভীরে ক্ষরন
শুকাতে থাকে নিউরন অথবা তার মিটি মিটি হাস্যমুখ

প্রতিদিন দিন গুনি, অযথা রাতের মুদ্রা অদল-বদল হতেছে

রিক্ত ঝাউ গাছে

বেড়ে উঠেছে ক্রমশ কোকিল ছানা

তবুও

তাহার চোখে আমি বিচ্ছিন্ন হতে থাকি

মৃতপ্রায় স্বপ্নের হাতপাখা

আমি আজকাল অনেক গুলি বৃষ্টির শব্দ শুনতে পাই;

রিনিঝিনি / টুংটাং / ঝুনঝুন / হিস হিস - বেরসিক বাদ্য বাজনায়

অনুরুপ আমি ফোটাঁয় ফোটাঁয় তৃষিত হই
তবুও
নিরানন্দে চড়ুই দল
নেমে আসে তাহার টিনের চালে

লাগোয়া ঘাটে
সবুজ কচুরীপানা জুড়ে ক্লান্ত বিকেল

পায়ে পায়ে পায়চারী দু/তিনটে ওরা
ভেবে নেই ওদের ছুটোছুটি; নির্ভার জলাকার
পার হই ; হতে হয়

রোজ; দ্রুততর ফুরাবে পথ বিনম্র চোখে
মৃতপ্রায় স্বপ্নের হাতপাখা
ঘুরে চলে
শুয়ে পড়া পাটাতন ক্রমশ

আমি রোজ দেয়ালে দেয়ালে

গেথেঁ নেই
তাহার নির্ঘুমে আমার চড়ুই

যতটা অন্ধকার ঘনায়; ঘনাতে থাকে প্ররোচনায়
বৃষ্টির ঝাপটা
পার করে
সবুজ

আরো

সবুজ

ধুসর পার অবধি ক্ষয়ে গেছে যে পটভুমি...

মন খারাপের ইজেল

আমি সহসা মেখে নিচ্ছি কালো রঙ

মন খারাপের ইজেলে
ইচ্ছে পাখি
নাড়ছে
সাদা সাদা কবুতর ডানা

[এক]
যতটা উড়াল দিতেছে
[দুই]
ইচ্ছে পাখি ততটাই মেলতেছে ডানা
[তিন]
নিভতেছে আলো সেথায়; হেথায়

একলা যে একলা থেকে যায় তাহার আচঁল
বুননে বুননে আলতো ছোয়াঁয়
ক্ষয়েছে যে তারল্য
সে লাগিয়া দূর আকাশে মরা চাঁদ; তাহার
কালো কালো মেঘে সাদা সাদা কবুতর উড়তেছে
ঘটিয়াছে পালাবদল

বজ্রনাদে
বজ্রপাতে

আমি মুখাবয়বে মেখে নিচ্ছি ডোরাকাটা স্বপ্ন - ক্ষয়ে ক্ষয়ে

কথোপকথন ; কি কথা তাহার সাথে

পদস্খলনের ভয় নিয়ে রাত পার করি
তবুও সূবর্ণরেখায়
ভিনগ্রহ থেকে নেমে আসা প্রবাহ
ধীরে ধীরে প্রচছন্ন আলোয়
জোনাকীরা উড়ে চলে বসন্ত উতসবে ক্রমাগত
কামাঙ্খায় কথা ছিল নিঃশেষে করিবে সে দান - প্রাণ
হলো না; হলো না সম্বিত ফিরে পাওয়া
না পাওয়া
কথোপকথন ; কি কথা তাহার সাথে
অবলীলায় দোর খুলে পিছু হটে অবন্তিকা অনুভব
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে টাপুর টুপুর হলো না বলা
মর্সিয়া গুঞ্জনে পার করি রাত
ক্ষরনে ক্ষরনে টিনের চাল

ভরা যৌবনে টালমাটাল

কে জানে
কোন ভুত্বকজুড়ে জোড়া লাগা অস্থিরতায় কেঁপে গেছে জোছনা রাত

অথচ শুনছিলাম তরঙ্গায়নে

রাশি রাশি বরফকুঁচি স্বপ্নে মিলিয়ে খুজেঁ নেই বরফমানবী

আচমকা
বৃষ্টিপাত ভেবে
মাংসপেশীর উপর
বাড়িয়ে নেই নিজের
পান্ডুলিপি পৃষ্টার পর পৃষ্ঠা

জানতে চেয়েছিল সে, বসন্ত আসবে কী ?

অনেকগুলি কৃষ্ণচূড়ার ডালে এখনো আসেনি লাল
তবুও সফেদ বৃষ্টি কনায় ডুবে গেছে
প্রান্তিক যাপন
তাহার

অথচ শুনছিলাম তরঙ্গায়নে
When winter comes heaven will rain success on you...
এইটুকু

স্নোফল কিংবা রেইনফল ;

আমি নির্দ্বিধায় ডাউনফল অনুভব করে যেতে থাকি
সামনের কাচাঁ আমের সৌগন্ধে
পেছনের সারি সারি তরমুজ
এবং

একজন ফেরিওয়ালা

একটা শীত পার হয়ে স্বপ্ন খুজিঁ এবং খুজেঁন অন্যত্র
ঝরঝরে
সফেদ স্নিগ্ধতায় ফায়ারউড জ্বলছেই !

জানালার ওপাশে তখন হারমোনি-

কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে When Spring comes.....

বৃষ্টিলীন করোটির কাছে

বৃষ্টিলীন করোটির কাছে চুপসে গেছে পৃথিবীর যে অক্ষাংশ
দাড়িয়ে থাকা সেখানেই

হরদম

যেখানে স্থাণুরতা
ক্রমশ পতিত হতেছে অসম ভগ্নাংশে
ক্রিয়াশীল সরল রেখায় বদলে গেছে
বালিয়াড়ি

নিশ্চুপ গলনে হরিতকি স্বাদ ; বিষন্ন রসায়নে
যে প্রসাধন
সেখানেই ধ্বসে পড়ে হিমবাহ
সুঢৌল গঠনে একে একে বজ্রপাত-তবুও বৃষ্টিলীন

খসে পড়া নক্ষত্রসীমায় তাবত পৃথিবীর জোছনারা জ্বলতেছে
জেনে আলোকবর্ষ পেরিয়ে গেছে

দ্যুতিময় স্বপ্নেরা...... হয়ত কোন এক তরঙ্গ রাতে
জেগে উঠবে সারথীরা

শীতল রক্তে ফিরে পাওয়া স্পন্দনে
অনেক না বলা কথার ছলে

রিনিঝিনি চুড়ির মাতম

সকাল-দুপুর
অনেক রৌদ্রের মধ্যে ধীর লয়ে বের হয়ে আসে সুতোর কুন্ডলি,
সে বাধঁবে বলে গেলে দূরত্ব কমে আসে,

দূরত্ব ; মেঘের দূরত্ব নটিক্যাল মাইল জুড়ে কাব্যিক
এক রচনা রচিছে অপ্রচলিত সূচি শিল্প

বাড়ছেই দেবদারূ সারি সারি,
সাদা-কালো-আসমানী খেলায় রক্তলাল স্বপ্নে ব্যাথাতুর হতেছে তাহার
মধ্যস্থল

এবং
সে বাধঁবে বলে গেলে শব্দ হয়; রিনিঝিনি চুড়ির মাতম
চলে যায় নগর যন্ত্রণায়

অলস লাইনম্যানের হাত জুড়ে আলোকসজ্জা;
শুনশান সড়ক বাতি খোলস ছাড়ে

সেই অলস প্রান্তরে

নিরব যে প্রাণ ঘাত-প্রতিঘাত প্রশস্থ বিটুমিনে

ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টিতে তাহার ক্ষয় হয়

কোণ বেয়ে ক্রমশ...

Tuesday, July 8, 2008

অন্যপথে এড়িয়ে যেতে পারলে ভালো হতো

অন্যপথে এড়িয়ে যেতে পারলে ভালো হতো, বৃষ্টিকে
সেই
দোদুল্যমনতায় এক হাঁটু জলে রাতের দ্বিপ্রহর

সিড়ি ঘর !

কাঁপছেই হাড় ; ক্ষয়িষ্ণু পিঞ্জরে একাকী তাহার নিশব্দ

অন্যপথে এড়িয়ে যেতে পারলে ভালো হতো, রেইনকোট

ভিঁজে যেতোনা এবং তার সারা শরীর
অনেকগুলো জ্বরের গন্ধে
ভাসছে
নীল নীল ছাদ

পায়ের হাটুঁ অবধি মোড়ানো প্যান্ট; দূর্লভ ছবি কথা
ছটফট স্বপ্নে অনেক তারা জ্বলে ; শুক তারা

সুখ তারা !

ঘুমহীন সকাল সকাল শুনে আসি
ফজরের আজান
থামে
নির্ঝর আকাশটা দেখে

পায়ে পায়ে চৌকাঠ ছুঁয়ে যায় ব্লাড স্যাম্পল;
অনেকটা পথ পাড় করে আসা
কোলাহল নেই কেন প্রশ্নে প্রশ্নে তাহার ক্রুদ্ধতা;

আর কতদিন এভাবে ক্ষয়ে যাবে
অশরীরী ভাষা...

অন্য পথ এবং বৃষ্টি লাঞ্ছনার অনুভবে

শুণ্যে তাকিয়ে থাকা এই সব দিন রাত্রিতে

-Shadow is not only the dark side

গভীরতর রাতে এক পশলা বৃষ্টিতে ভুলে যাই আজ পূর্ণিমা ছিল
ধীরে ধীরে অচলায়তন ভাঙ্গে আড়মোড়া
অথচ
ছায়ার কথা ভাবতেই তাহার অঙ্গুরী
নীলাভ পাথরে জেগে উঠে

সান্ধ্যকালীন প্রাথর্নায় বেজেঁ উঠে গির্জাধ্বনি
দুরে, দুরে কোথাও কাঁদছে নিস্প্রভ এক আলো, সাগর পাড়ে

এখানেই নিরব হয়ে থাকা পুরোনো বইয়ের পাতার পাতায়
অনেকটা
The silence between us walked away
And......
একহাত উঠে যাওয়া ঘনো ঘনো নিশ্বাস ফেলে মেঘমালায়
মালায় মালা বদল হতে
জুঁই এবং গোলাপ

শুণ্যে তাকিয়ে থাকা এই সব দিন রাত্রিতে
সে এবং তিনি কাঁদছেন
কিঙবা আমার নিজের মনে পড়ে যায় সফেদ রজনী
রজনী ব্যাপী রজনীগন্ধা
থমথমে আলোর আড়ালে হেঁটে যায় আধাঁর কিঞ্চিত
অশ্রুসজল-

There's a light shining somewhere nearby

এটি একটি তৃতীয় নয়নের কথা

আমি কিন্তু অন্য কিছু বলতে চাই
এবং
রসিকতাবোধে চব্বিশ পাতায় পুরো অপেরা

বিকলাঙ্গ হওয়া থেকে বিরত রাখাটাই প্রধান কাজ
যদিও পশ্চাদদেশে
ধীরে ধীরে খুবলে যাচ্ছে আস্তরন

-বাদামী আস্তরন ;

গতবছর ধরে বানানো নীড়ে একটি ক্ষয় ও কাঠামোর নিম্নমুখীতায়

সবাই জানে,

কোকিলেরা আজো বাসা ছাড়েনি তাই স্বপ্ন দেখছি আর মঞ্চস্থ করে ফেলছি পার্ট টু পার্ট এবং আমি কিন্তু সেই কথা বলতে চাই

তাহার ও তার

অথচ এটি একটি তৃতীয় নয়নের কথা;

অস্বস্তিকর বেডশীটজুড়ে অলস দুপুর খুলে পড়তে থাকে বিকেলের কার্নিশে, যথারীতি চা পান সভা এবং তারা আগত

উঠে বসলেই প্রচন্ড প্রেসক্রাইবড যন্ত্রনায়
তবুও ভীড় হয়, কথোপকথন

সামান্য উশখুশ

ঠাট্টায় গড়াগড়ি আর একটা হিউমার লেখার অনুপ্রেরনায়

বিকলাঙ্গতা বোধ থেকে আমি তাহার ক্ষয়িষ্ণু অনুভবগুলো
উল্টে পাল্টে রাখি

সাজাই

আলোকিত করি লোডশেডিং সন্ধ্যায়

তথাপি সবাই জানে আমি খুব চকিত তাকাই নীল আকাশ
আর
অনেককিছু

এক পায়ে নুপুর ; অন্য পা খালি

কেউ কী আছে অমোন দুয়ারে
আছে কী স্বপ্নবিলাসে
আহরনে, আরোহনে

কাটলারিজ সৌখিনতায় আমার অচৈতন্য
তাহার
কাঁটা চামচ আর ড্রপস

ফোঁটায় ফোঁটা

ফিরে আসবে না, যতই ভালোবাসি তারে
দুরে, দুরে আমি যাই চলে সাগরপাড়ে
সে তো তাহার; তাহার বিক্ষিপ্ততায় ক্যাকটাস ডানা মেলে আছে
ছিটকে যাওয়া রঙে রঙে মলিন হয়ে পড়ে দেয়াল
হতে ঝরে পড়া
টুকরো পাতায় সাদা-কালো
কাটি কুটি

লোডশেডিং স্বপ্নে
এপাশ ওপাশ কাত হয়ে যাওয়া
শিরায় শিরায় রক্তক্ষরন; অনায়াসে
কেউ কী ছোঁয়

তাহার, তার ধূসরবোধে এঁকে দিতেই ক্যাকটাস ফুল
কাঁটারা কাটা
লোহিত কনারা সফেদ চাঁদর ছোঁয়, ছোঁয় মৃত্তিকা

রঙে

- এক পায়ে নুপুর ; অন্য পা খালি

ধূসর পান্ডুলিপি

শুষে নিচ্ছে গ্রীষ্মের ঘাম, নোনা জল

অসময়ের জিঘাংসায় তপ্ত দ্বীপের আড়ালে তাহার ছদ্মবেশ
তবুও একরাশ ভালবাসা

অস্থিরতা, অস্থিরতা আর স্থির দৈন্যতা

ঠোটে ঠোট পাল্টাচ্ছে স্বাদ; যতটা জিহবার পাটাতনে টান টান
করা জেল ;

মলিন ত্বকের ফার্নেশে জ্বলছে যে আগুন তা

দাবানল; নল থেকে খাগড়ার নল

পুড়ছে পাতা, গোলপাতা কিঙবা শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনি

বাঁজছে ! বাঁজনার তালে তালে ছোঁয়া পাকস্থলী
রসনায় রস

ঢেলে ঢেলে গুটিয়ে নিচ্ছে তাহার আচঁল
কালো রং এর গরাদ ছড়ানো আকাশ

কাছে, অতি কাছে

ধূসর পান্ডুলিপি, ক্ষত হয়ে যাওয়া পৃষ্টায়
পৃষ্ঠায়
কাঁটা ছেড়া আর অবনত মননে এক প্রস্থ সাদা জমিন

কপালের মহীঢাল বেয়ে নেমে পড়া ফোঁটায়
ক্ষয়ে যাচ্ছে টেরাকোটা আদল

ধীরে ধীরে...

অবিকল বাঁজতেছে স্বপ্নীল জানালা

কোথাও বোনা হতেছে সোনালী ঘাস
এবং
বোরো মরসুমে
তাহার হাতের পুরোনো সেই রন্ধন

ঘিরে ঘিরে জাগছে আশা; আশানিয়া

তবুও মুক্তির গানে
অবিকল বাঁজতেছে স্বপ্নীল জানালা

তারা রাম পাম তারা রা .....

লৌহদন্ডে সুদৃঢ় কব্জির আদলে
দিন বদলের পালা শেষ স্বরলিপি
শুনতেছে

এই কান ; সে কান

নিঃশেষ হতেই
গোলা ভরা দান
আর
ধান
যেখানে সান্ধ্য বাতি জলতেই
নবীন পসরায় বাজার বসতেছে
লাগোয়া গোলাপী রং জুড়ে
দেয়াল ; দেয়া আল

মিশে যাওয়া বালির আড়ালে
সে
দিন
গোনা
এক পতঙ্গ থেমে থেমে
নেমে আসে আলোর কাছে

আলো আর আলো ; চাজর্ড আলোয়া মাতোয়ারা
স্বাদের কাছে বিস্বাদ যন্ত্রনা
ঢোঁক গিলে

নরম আসনে আসীন কাঠের চৌকাঠ
তবুও ছড়ায় সৌগন্ধ

শুণ্য রাতে একা একা ক্ষয়ীষ্ণু মাঠের দৃষ্টিসীমায়-

একটা গোলাপী রং দেয়াল

হঠাত আলো পার করে বেডরুম অন্ধকার
যেন
সাজানো হতেই তেলাপোকা ; তেলতেলে মেঝে ধরে হাঁটে
দৌড়ায় মসৃনতায় শব্দহীন ; নিশব্দ

একটা গোলাপী রং দেয়াল

তা

অবিকল বেদনায় কাতর হতেছে যে জীবনানন্দ

জীবন ও আনন্দ, একাকার কিচেন থেকে পড়ার টেবিল অবধি
হুট হাট
সেই একাকী চেয়ার
ডাইনিং আড্ডায়

বৃষ্টির ছাট ঘরের বারান্দায়; এক হাঁটু ডুবে যাওয়া
কিংবা আরো বেশি

ভয় ; নির্ভয় সাক্ষাতে

নির্ভয়ে পার করি রাত; নিদ্রাহীন রাত
সুবিনয়ে প্রশস্তিতে
যতটা
সুবহে সাদিক ধীরে ধীরে; খুব কাছে
ক্ষয় হতে থকে যে সময় তার
আরো কাছে
বিষন্ন গলির মুখে তাঁর দাড়িয়ে থাকা

একাকী ভাবছে অনেক কথকতা; শ্রবণেন্দ্রিয় প্রবল হতেছে
নিশ্চুপ ব্যাথায়

টুপ করে পড়ে; ঝরে পড়ে দু'ফোটাঁ....

দাড়িয়ে থাকে একাকী এক সংশপ্তক

নির্লোভ সাগরপাড় জুড়ে শুরু হবে ক্রন্দন....

মনন এর ভেতর অন্তর্ঘাত হতে থাকে ক্রমশ
যে সরল রেখা

তার ভেতর হতে নেমে আসা লাভায়

বালুময় মেঝে, থেমে থেমে থমথমে
দুঃসহ
স্পন্দনে দিন গোনে

একটা লম্বা লোমশ হাত

ছেদ করে যায়
গলিত মাংস

মেলানিন কমে আসা ত্বকে

কিংবা ক্ষয়ে ক্ষয়ে

Yet, when the silence comes
all that I have is you.

রোজ রোজ ঘেমে যাওয়া বিছানায়
নোনা হয়ে আসে
শ্রাবণ রাত্রি ; ভয়ার্ত স্বপ্ন দেখা শেষে

দুরু দুরু বুকে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে
জেনেই

দাড়িয়ে থাকে একাকী এক সংশপ্তক -

একটি হৃদপিন্ডে ডানা মেলতেছে

: The heart is wiser than the intellect

মনের কথা কিভাবে বলি যতবার মননে ছিন্ন হতেছে
নিউরন ; গনহত্যা

কোমল হয়ে পড়া হৃদপিন্ড জুড়ে তাপদাহ

আম আম কেবিনেট হতে গলে পড়তেছে
শুদ্ধতম শব্দ ; ম্যাসাকার হতে হতে
আম একটি ফলের নাম কিংবা সাধারণ কিছু মস্তিষ্ক জোড়া লাগতেছে
ক্ষুধাহীন বিকেলে
পুরোনো বইয়ে গন্ধে ঘরভর্তি অন্ধকার
ধোঁয়া ; ছোঁয়া

লাল রং - সাদা রং মিলে একটি কঙ্কাল
তবুও
মননশীলতাকে বাদ দিয়ে কী বলি রসালো রন্ধনশালা
রাঁধছে মাংসল হাত, পা
হতোদ্যম রক্তে ; সঞ্চালনে মনে পড়ে

আমি কিছুই চাই না,

সেও

একটি হৃদপিন্ডে হয়ত ডানা মেলতেছে কোথাও

টাঙ্গানো ছবিটায়

দেয়াল থেকে খসে পড়ে পলেস্তারা ; আস্তরন
আস্তে আস্তে বালি হয়
ঘরময়
ছুটোছুটি

সিমেন্টগুলো ফ্যাকাশে হতেই রং বদলায় পেইন্টারের ব্রাশজুড়ে
বদলানো গ্লামার যতই ছড়ায়
হাফ ছেড়ে অবলুপ্তির কথকতায়

বলতে হয় এবার
তোমার বুকে উঠে আসবে
আকরিক শয্যা; সজ্জা

নাকি

বাধবো শিকল খন্ডচিত্রে

অপলক চোখে কান্না মেশে

টাঙ্গানো ছবিটায় তিনি হাসেন, মৃদু হাসেন
অথবা
দিচ্ছেন সান্ত্বনা

সন্ধ্যা ঘনাতেই
পার হয়ে যায় বৃহস্পতি; বৃহস্পতিবার
কিংবা রবিবার

যে কোন একটি মিনারেল ওয়াটার জুড়ে তৃষ্ণা লেগে থাকে
বদলায় বেডশীট ; দিন বদল

হাহাকার ছেড়ে স্বপ্ন দেখি সহসাই কলমী লতা ডানা মেলে
চোখে চোখে
অনিশ্চয়তায়

ভয়ে ; ভয়ে ক্ষয় বাড়ে এবং ক্ষয়ে ভয়

পিঠে পিঠ লেগে যায় ... চাদর বদলায় পাশ

কষেরুকা কী কথা বলে

মেঘের ওপারে তারা সব; একজন জ্যোতিষী বলে গেলেন
তালগাছটা শুধুই আমার

আমি নিশ্চিত, দিনের আলোয় শুধূই সূর্যগ্রহন হতেই পারে কিংবা
চাঁদ-তারা গল্পকথা

তাই হন্যে হয়ে রুপকথা ; ঠাকুরমার ঝুলি

যদিও তিনি আমার মঙ্গল করবেন না কিংবা কখনো করেননি তাতো নয়

বড্ড অপয়া জানতেই এফ এম জুড়ে বন্দনা
এমন
একটা ধোঁয়াশায় গোলটেবিল বসানো হতেই সপ্তডিঙ্গায়

সবাই দাড় বায়; কেউই সাঁতার জানে না

সিরাম ক্যালসিয়াম এবঙ সিরাম ফসফেট, অথচ হাতরে বেড়াই
বাক্স পেটরা

অনেকগুলো হাড় একসাথে জুড়ে গিয়ে দাড়াতাম

অষ্টিওপরেসিস যন্ত্রনায় কাতঁর ষ্টেইনলেস ষ্টীল
খুলে পড়ে গেলে
এক গ্লাস দুধের রসায়নের বিচারে ভাবছি

কাল রাতে কতগুলো তারা ছিল আকাশে

মধ্যমায় কতটা প্রশান্তি নিয়ে পার করে বছরের শেষ দিন

এবং

কষেরুকা কী কথা বলে

একটি কালো রং জমা হলে

একটি কালো রং জমা হলে অনেক প্রশ্ন

হলুদ গন্ধে মাতোয়ারা; অথচ ধীরে ধীরে

দরজা খোলে

রংধনু ছিলো তাহার কাছে ; তার কাছে

মিশ্র হতেই রাত জাগা পাখি পিপাসার্ত হতে
হতে

বুনন খোলে জানালার ; পর্দার

বুনোটে বুনোটে আলগা হওয়া পুরোনো পাতা
খসতেই

ছুঁয়ে নেই শিশির

তবু ও অভিপ্রায় নিষ্ফল জেনে তারা আসে ; ইজেলে
অনেক ডাক ; অনেক আঁকি-বুকি

কথা ছিলো তুমি আর আমি কিংবা তিনি এবং তিনি একবার শুধু
ছুঁয়ে নেবো পাটনার জল

হমম হমম ! না দূর চিরন্তনে অনেক না জানা শব্দ

কঠিনতর

তবু্ও
আজ ডাকবাক্স খোলা হতেই নিভু নিভু আলো; নিয়ে গেল চাবি

যেমনটা
হঠাত পতনে পতনে প্রকোষ্ঠ ছিন্ন করে ফেলা; একটি শুধু লাল রং
একটি ধূসর স্পন্দনে সে তাকায় ; কিছু বলে
বলে না অনেক কিছু ; যদি জানতো
কিংবা তিনি

ক্ষরণে ক্ষয় ; ক্ষয়িষ্ণু অনুভবে ঝাপসা হয় কর্ণিয়া

ক্লান্তি শুধুই ছাদের দৃষ্টিতে...

পান; হাতের মুঠোয় মৃত্তিকা

ধূসর রং অবশেষে; কোলাহলহীন

বাস্তুচ্যুত প্রাণীর মত

প্রখর রৌদ্রসীমায় আমি ভাবিত হই
শাণিত হই

বাস্তুচ্যূত প্রাণীর মত খুঁজে বেড়াই নীল অনুভূতি
হরদম

হরদম অনেকগুলো স্লাইডিং দরোজা থেমে থেমে যায়
বিনীত চোখে আমি, সেই আমি বিনিদ্র যাপন শেষে উঠে যাই
মৃতপ্রায় সজ্জা হতে

ধীরে ধীরে কশেরুকা সংযোগে স্বাদ বদলায়
এপাশ ওপাশ
পাশ বদলানো অনুভব ক্ষয় হতে দেখি

অনুভবের; তাহার