Monday, March 31, 2008

আমি তাকে সালমা ভাবছি না

আমি কোন কথা বলছি না অথচ সে একজন পুর্য়াতোরিকান-স্প্যানিশ
তাকে সালমা ভাবছি না অথচ সে উপমহাদেশীয় ঢংয়ে নেমে আসছে ঝুলন্ত সিঁড়ি হয়ে
রেলিং এ হাত ; হাতে মেহেদী


তার ওধারে ঝুলে পর্দা
পর্দার ওপাশ জুড়ে কনকনে শীত

রাত বেশি হলে ওর তাড়া বাড়ে ; দৌড়ায় এবং ঝাঁপ দেয়

অথচ ওর গায়ের রং পীত বর্ণ জেনে আমি কোন কথা বলছি না পশমী চাঁদরে

দূর থেকে যতবার টিউন করি গীটারের তার,
ছিড়ে যায় তারপর...

সানাই বেঁজে উঠে নাইটগাউন ললনা হয়,

প্রখর রৌদ্রে লং স্কার্টগুলো আরো বাহারি হলে
মেঘ-বৃষ্টির উপেক্ষায় একদল বাদক ধীরে ধীরে রাস্তায় নামেন জলপাই রংয়ে,

বজ্রপাত ঘটার কামনায়

ঢালুপথে সব কিছু কাল রং হতে পারে

এবং
বেনীদুটো কষেরুকা বেয়ে নেমে আসে

যদি মাটি ছোঁয় তরঙ্গে মোটর যানগুলো

পেরোয় রাজপথ ধূসর বিকেলে
তবুও সে রয়ে যায় অসীম সম্ভাবনায়
অনিদ্রায়

একটি স্পার্কড রান্নাঘর ; ঝিলিমিলি
একমুঠো মশলার সমাহার এবং ব্যাপক রেসিপিতে পুড়ছে

অনেকগুলো ইলিশ থেকে ভিন্নতর ক্যাট ফিশ

উম ‌ ম !

উপমহাদেশীয় গ্রীস্মে সুনসান শহরজুড়ে ছড়ানো পার্কিং লট
আলো-আঁধারি ;


কোথাও এর্নাজি সেভিং বলয়

এবঙ ফোঁটা ফোঁটা পুরোনো দিনের জমে থাকা পানি
ছিটকে পড়েছে যতবার

ততবার সব কিছু কস্টিউমড হয়ে গেলে
অনেক দূর থেকে অনুবাদ হতে থাকে

পীত ত্বকে উপমাগুলো

বাদকযন্ত্রে ....পার্কিং লট

আমি এখনও তাকে সালমা ভাবছি না কিংবা
============================

এই লেখাটি এখানেও পাবেন =>

Sunday, March 30, 2008

অন্ধকারে বন্দী পলিমাটি


অন্ধকার। বহাল তবিয়তে আছো বটে। সে দেখছে দুর থেকে নাট্যমঞ্চ উদ্বোধন।

এক কাজ করো আগামীকাল তোমার সাথে এক সন্ধ্যা আলো নিয়ে ওকে নিয়ে এসো।

ফিতে কেটো নিজের বলিহারি চোয়াল দিয়ে । আঁকড়ে ধরো ।

আমরা শুধুই দেখবো তাকে। ক’জন অন্তত জানতে পারবে স্মিতহাস্যে সে আজো আছে।



সামনের প্রতিটি সিঁড়ি কমতেই রাস্তাগুলো বুকের কাছে উঠে আসে। শাটার লাগানো দোকান ডাকতে থাকে ।

একটা রাস্তা চওড়া হতে থাকে। বুকের ভিতরে দেবে যেতে থাকে পলি মাটি। পলি মাটি। সে তো গত বর্ষার পরে । এর পর পর সব ধূ ধূ বালি।

সিঁড়িরা ঘিরে রাখে টহল পুলিশ। আমি দেখি আমার বুকের ভিতর পলি মাটি। আলকাতরা বেয়ে পলিমাটি নেমে আসছে ক্রমশঃ ।



একটা থীম মীথজ মাত্র। শুধু বন্দুক তাক করা হবে বলেই রাজসাক্ষী। নইলে সবকটি চার্জশীট তোমার হাতে বনদী। বন্দী।



অন্ধকারে সিঁড়িরা বনেদী বাড়ীর নিজস্ব। পলিমাটি শুকিয়ে কখনো বাড়ি হয়নি। তবুও বন্দী হয়েছে চার দেয়ালে।

গৃহকর্তা বেশ সংকোচে বাড়ালেন পা। ভৃত্য নিরব । একটা একটা করে অসংকোচ কারারুদ্ধ।

অন্ধকারে বন্দী পলিমাটি। সে দেখেছে সুসজ্জিত আলোকবাতি। আর আমরা প্রত্যেকে নাট্যমঞ্চ।

পরোক্ষে-২

পরোক্ষে তুমি আনন্দে ভেসেছিলে
তাই দ্বিতীয় ছত্রে তোমার নাম।

অনিবার্য চন্দ্রবর্গে সবগুলো দিন-রাত একাকার,

তৃতীয় চোখ। তাই অনেক না বলা কথা ।

তৃতীয় কবিতায় নিয়মিত সব উপমা বাদ দিয়েছি গতরাতেই,
ভেবেছি
বিচলিত হওয়ার কিছুই নেই; ওগুলো রেখেছি শুধুই তোমার জন্য।


পরোক্ষে-১

মিজারেবল একটি সত্যি বলি তোমাকে,
প্লিজ কানে তুলো দিও না।

গত তিনটি বছর যার সাথে
এত কথা
এত ভালবাসা
সে সব তো চার বছর আগেই বিগত ।

আমি শুধুই প্রক্সি দিচ্ছিলাম..................

হ্রস্ব-দীর্ঘ আলাপচারিতায়

শুনলাম তুমি আছো তাই
তোমার চৌকাঠে পা রাখি,
তুমি কাছে টেন এ বসো হেলানো চেয়ার।


হ্রস্ব-দীর্ঘ আলাপচারিতায়

সু-ক্ষনের একটি প্রহর

বিস্তর নাড়াচড়ায় গড়ানো পাহাড়িকা,

তুমি লো-নেক ত্রিভুজ এঁকে আমাকে দেখাও।

বিক্ষিপ্ততায়
অরণ্যেরা বার বার ঢিল ছূড়ে নদীর ঘোলা জলে তোমার জানালা কাঁচ ভাংগে
তবুও

অন্ধকার হয়ে পড়ে ল্যাম্প পোস্ট নিভে যাবে বলে মোমের আলোয় জোনাকী মেতে উঠে

স্বাধীনতা তুমি আজ অনন্ত ছাব্বিশ

স্বাধীনতা একটি ভুমিসীমা রেখায় নিজ বাড়ী শৈশব, কৈশোর, যৌবন আর মৃত্যুতে।
স্বাধীনতা একটি সংলাপ নৈকট্যে ফিরে আসা স্বজনের না বলা কথায়।
স্বাধীনতা একটি মিছিল বোমাতাংকবিহীন রাজপথ র্নিভিক যুবকের অবিকৃত শ্লোগান।
স্বাধীনতা একটি তালিকা ক্রসফায়ার ছেড়ে ভালোবাসায় আমজনতার নিশ্চুপ ডেডলাইন শেষে।
স্বাধীনতা একটি ভাষাম মতায় আর স্বাধিকারে যেখানে মায়েরা কখনই র্নিবাক নন।
স্বাধীনতা একটি অনুভূতিমান নেই, নেই রাগ চোখের ইশারায় শব্দ ছড়ানো।
স্বাধীনতা একটি পতাকা লাল সবুজ জমিতে শ্যামলিমার সাহচর্য্য ফিরে পাওয়া।
স্বাধীনতা একটি প্রতিবাদ সোচ্চারে শোষিতের হাতিয়ার এখনই সময়; সর্মপিত হওয়ার।
স্বাধীনতা একটি কাগজে পেন্সিল রংয়ে কাটাকুটি প্রতিটি পিক্সেলে একটি প্রাণ।


স্বাধীনতা পিতা-মাতার সরব দাম্পত্যে বর্তমান নিঃক্ষয় র্নিভরতায় ভরা বটবৃক্ষ।
স্বাধীনতা প্রিয় মানবীর ভালোবাসায় শংকাহীন প্রিয়দর্শিনী হাতে হাত রেখে দ্যুতিময়।
স্বাধীনতা দক্ষিনের জানালা খুলে দেয়া আকাশে অনুভবে মার্চের নীল আকাশ
স্বাধীনতা নিরপরাধী ত্যাগে সর্বস্ব পাওয়া অ-পাওয়ার আবেগে জ্বলজ্বলে অনুভূতি।
স্বাধীনতা ক্ষনে ক্ষনে উড়ে যাওয়া পাখিরা ডানা মেলে যায় বাসন্তী চাঁদরে আজ অনন্ত ছাব্বিশ ।

শেষ বিকেল

সময়ের প্রদক্ষিনে
এন্টি অক্সিডেন্ট চাই
মিশ্রনে মাল্টি ভিটামিন, ধীরে ধীরে শিরায় শিরায়।


তবুও কি থামে এ যাত্রা
ক্রমাগত বাড়তে থাকে
সাইরেন শব্দে ক্ষয় হতে থাকে

দেহ সত্ত্বা অস্থিতে অস্থিতে মৃদু ঘর্ষন জাগে।

শেষ বিকেল যখন ঘনায় ? কখন ঘনায় ...........

পাফ

এক পাফের জীবন্ত চুমুতে ভরপুর
এক একটি কষ্ট।


হতাশ চোখে তাকাই প্রিয় মানবী,

ধোঁয়ারা আকাশে মেলায়

মেলায় অ-চাওয়া অনুভূতি।

এভাবেই যখন পুড়ে ফেলা
র্নিদ্বিধায় নিষিক্ত চুম্বন,

পাফ এর পর পাফে কেন এই জড়িয়ে ধরা
যেন অচেনা পুরুষের বন্ধন

নিকোটিন ছোঁয়া অধরে
কেন এতটা বছর কাটিয়ে ফেলা ?

জ্বলে আগুন
ক্ষয়ে ক্ষয়ে
তিতে ঠোটে
কালসেটে ভালোবাসা
কতটা মলিন !!!

হতাশ ভাবনায় একাকী প্রিয় মানবী, কতটা পাফের পর এক চুম্বন নিষিক্ত হতে থাকে...

ভাবনায় কবিতারা

উত্তাপের দুপুর শেষে শব্দেরা শান্ত বিকেলের কাছে এসে
জোট বেধে জড়ো হয় নিজেরা

কবিতা হয়ে বেশভূষা পাল্টায়
যখনি মেঘেরা কাশফুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়।

কবিতারা ভালোবেসে নিজেদের হারায়
ক্ষীনকায় স্রোতের আলিংগনে কাত হওয়া গাছের ছায়ায়
পথিকের মন জুড়ায়।

কবিতারা জড়ো হয়
কপোত-কপোতিরা ছুটে ছুটে ডানা উড়ায়
ভেজা ভেজা পরশে নিশ্চল আকাশে ।

কবিতারা তপ্ত বৈশাখে মরমে মরমে
নির্বাক ভাষা জড়ো করে
একাকী এক মেষ বালকের সুরে সুরে।

কবিতারা পথ চলে শব্দে শব্দে
না বলা কথা
না বলা ছন্দে
শিল্পীরা তুলি ধরে
ছবি আকেঁন জীবনানন্দে।

কবিতারা মেহগনি উদ্যানে দুপুরের রোদ পানে
জোছনার আলো আনে
স্নিগ্ধতায় জড়ানো এক মানবীর টানে।

কবিতারা দূরতম কোন এক দ্বীপে সৈকতের জল ছুঁয়ে যায়
খেলা করা এক কিশোরির রুপালী কৈশোরে
ভেজা পায়ের ছাপে ছাপে।

কবিতারা র্নিঘুম রাতে
মায়ের বুক ঘেষে কেঁদে উঠা
শিশুর কাছে স্নেহের পরশে
ঘুম ঘুম ভালোবাসা মেশে।

কবিতারা শব্দের আনাচে কানাচে
না দেখা শব্দে
অনেক কষ্ট জড়ো করে
ফিরে ফিরে আসে
হৃদয়ের কাছে।

কবিতারা শব্দের ভালোবাসায়
জড়ো হওয়া শান্তিতে
গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুর শেষে
এক রাশ চাওয়া-অচাওয়ার প্রাপ্তিতে।

ঝাঁপ !

গতরাতে শোয়ার আগে বড় আপুকে বল্লাম, আজ না স্পোর্টসে
লংজাম্পটা বেশ বেরসিক হয়ে
আয়তাকার ঢিবি পেরিয়ে একেবারে আমাকে নিয়ে আছড়ে ফেললো।

ব্যাথাটাও বেশ রে !

দেখিস বড় হয়ে নি,
আরো বড়ো;

এখন তো মাত্র সতেরো।

তখন সোজা ষ্ট্যাচু অফ লিবার্টি, এক হাতে মশালটা নিয়ে সেই অচেনা উপসাগরে ঝাঁপ।

সাতরাবো; সাতরে এপার। তারপর আমার ডিংগি নৌকো কুতুবদিয়ার চর ধরে থেমে যাবে এবং দক্ষিন বঙ্গোপসাগর হতে ধেয়ে আসা বাতাসে লিবার্টি তখন আমার কাছে;

স্ট্যাচু না হয় সেই অচেনা উপসাগরে

পৃথিবী মুক্ত হবে ; হয়তবা...

একজন সম্পূর্ন পুরুষ

একজন দোয়েল লেজ নাড়েন
নির্ঘাত একটা বিষন্নতা য়
তর তর করে উঠে যান
বিকেলের ছাদে।

সম্পূর্ন পুরুষ উচ্চকিত এখন স্পর্শ করেন আর বলেন
চলো যাই এবার !!

বিকেলের এখন ঘরে ফেরার পালা সন্ধ্যারা আজ বাড়ীতে জমজমাট আড্ডায় মানবেন্দ্রিয় সব কিছু খুবলে ফেলে
-একজন সম্পূর্ন পুরুষ তৃপ্ত হতে থাকেন .. ..

মুখশ্রী

হৃদয়ের চাপ ক্রমাগত বাড়ে
যতবার তিনি দিক বদলান।

আচঁলটা যতবার আছড়ে পড়ে

ততবার টাইফুন বয়ে যায়।

হিস্টোলিক; নয়ত সিস্টোলিক

হৃদয়ের ব্যারোমিটারে সব সময় চড়া

বাজারে

যাই বলি তার চেয়ে কম বলি

ভাবি এই বেটার নয় তো শুধুই উনার মুখশ্রী

অন্তরযামী

অন্তর বাস কর্মকারক বোধ হয়

অন্তরযামী বিশেষন,

অন্তরে বাস করেন তাই তিনি
কিংবা অন্তরযামী।


অযথা র্তকে উনাকে আটকে রাখি নি,
তিনি তো সবই জানেন গুপ্ত ঠিকানা চিঠির প্রতিটি লাইন বাম হাতের কারসাজি,

তাও বোঝেন।

দৃশ্যমান শব্দে উনাকে কেন খুঁজি,

তিনি তো সর্বদাই দৃশ্যমান অদৃশ্যতায় অনুভবে অস্তিত্বে স্পর্শ ছোঁয়ায় কামনায় বাসনায়।

তাও জানি।

পোষাকী রংয়ে .. .. ..তিনি তাই নিজমনে প্রতিবেশী হৃদয়ের প্রসাধনে ।

তবুও মারিয়া

হোটেল গ্রেভার ইন,

কখনও চেক ইন করিনি,

তবুও জানালার ওপাশে ঝির ঝিরে স্নো-ফল কিছুটা লেগে গেলো আমার ওভারকোটে।

পার্কিং লটে বরফের স্তুপ

যত্রতত্র আইসম্যান,

ছড়ানো বইটা

থমপ্যারাতেই শূভ্র !

মাঝে মাঝে

হিটারের তাপ কিছুটা পাই,
টিভিতে সি এন এন ওয়েদার রিপোর্ট এ

মাইনাস সেভেনটাও বুঝি !!

বুঝলে
তিথির নীল তোয়ালেটা
এখনও সেভাবে ঝুলে থাকে
যেভাবে
লীলবতী হর দম নদ্দিউ নতিমের ডাইরীতে ।

তবুও মারিয়া আজকাল তোমাকে বুঝি কম,
ময়ুরাক্ষী তো বুঝিই না,

আমাদের সাদা বাড়ি ও দেখি না।

আজকাল তোমার বান্ধবী রুপার সাথে বেশ জমিয়েছি....

তবু বন্ধু

জানো বন্ধু

কী ঠিক করেছি তোমার জন্য,

সকাল-সন্ধ্যা

কায়স্থ পেশা,

রাতের খাবারে পর

এক কাপ আরণ্যক কবিতা

মেশানো দুধেল চা

আর ঘুমানোর আগে

চুমুক মাউথ ওয়াশ

সাথে হয়ত থাকতে পারে অপ্রচলিত নির্মান গাথা


তবুও বন্ধু তোমাকে ছাড়ছি না

রবিবার বিকেলে !

তিনি শুধুই হেটে যান ।

নিস্তব্ধ প্রতিক্ষনে হেটে গেলে
শাড়ীরা একপাশ সরে গিয়ে
আঁচল ফেলে ।

ঝুলে থাকা রংগিন দুহাত,
সিফনের স্পর্শে ক্যামেলিয়া ঘ্রান,

প্রতিসরন রোদের আলোয়

আলেয়া ফিরে আসে শুধুই রবিবার

বিকেলে

মৌনতার ফাঁক গলে
আমি ছাদের কার্নিশ ধরে কখনও জানালার রড

প্রতিফলনে হেটে যাওয়ায় মত্ত হতে থাকি


তিনি শুধুই হেটে যান .. .. পায়ে পায়ে

এক জন অবয়বে ; জলছাপে

পেছনে শুধুই একজন লিজা !

দুজন ল এর অকাট্য সম্পর্ক
এবং
একটা হৃদতা

সহজ শব্দ লে হয়ে গেলো,

যতটা চেষ্টা করলে তারচেয়ে বেশি গ হয়ে
তুমি বীরপুরুষ আস্তিন হলে
নেমে আসে ছাদের ছায়া

বার বার বোঝাতে চাইলে চৌদ্দ তলা এর্পাটমেন্টের ডিএইটে
লিজা’রা মানিকাজোড় একটা লে
ততবার তুমি সিকিউরিটি বক্সে দাড়ানো
আর বি
সেভেনের আব্দুল তোমার একান্ত চকোলেট

১২০০ দিবসের একটা তদন্ত কমিটিতে
দুজন গ সাক্ষ্যে একটা হস্তিনী প্রসব করে

ব্যর্থতায় তিনবার লাঞ্ছিত প্রথম ল,
দ্বিতীয় ল হানিমুনে শৈবালের বালুতটে

সামনে বিশাল বঙ্গোপসাগর দূরে সরে যেতে থাকলে
পেছনে পড়ে থাকে শুধুই একজন লিজা

জলছবি

ভরা দুপুরটা জলছবি হতে গিয়ে
সিসিলির এক প্রস্থ মেঘে
হাতছানি দেয়
এক নারী
আবক্ষ
মাদকতায়।

বালিরা হেটে যায় সাগর সংগমে
কাঁকড়ার আঁকা বির্মূত পদচিহ্নে
সাইকাস ডাল নড়ে
ঋষিকেশ
আবছায়ায়।

গাংচিল নেমে আসে হঠাৎ
ভূমধ্যসাগরীয় তরঙ্গে তোলপাড় সুনামীতে
ভেসে আসে অবশেষে ঝিনুকেরা
একাকী
নীলাঞ্জনায় ।

ফেনিল ঢেউয়েরা আকাশ ছোঁয়
বিকেলের অবসন্ন সূর্য বিষাদে
তার নিস্তব্ধতা গোধূলির হাতে
হাত রাখে
বিষন্নতায়।

সিসিলির মলিন মায়াজলে
সে শুধু নিজেরি জলছবি আঁকে !

Saturday, March 29, 2008

আব্দুল এখন পোস্টার, জাতীয় দৈনিকের শিরোনাম !!

আজ শুক্রবার, বিকেল পাঁচটা। কালো মেঘে শ্রাবনের একটা বিকেলধীরে ধীরে শহরতলীর এ গলিটায় হেটে এসেএকটি মুদির দোকানের সামনে দাড়ালাম,ওপাড়ে রহিম চাচা আর উনার ২ টাকার চা। এক কাপ চায়ের সাথে গতকালকের বেচে যাওয়া তেলে ভাজা পরটা জমছিল বেশ, এমন সময় একটা মিছিল এগিয়ে গেল; কিছু মানুষ হাতে প্ল্যাকার্ডএকশত টাকার হায়ার্ড প্লেয়ার, বিরিয়ানী এন্ড লাঠিচার্জ ফ্রি।

আজ আব্দুলকে ও দেখছি না, মনে হয় সেও মুফতে ।

এককাপ চায়ে পরটা ভিজতে ভিজতে তলানিটা চোখে ধরা পড়ল। আজ আব্দুল থাকলে আবার রিনিউ হত চায়ের অর্ডার।

দ্রিম, দ্রিম , দ্রিম, ধুম ধাম ।

মার মার । মার কাট করে দেখি সেই মিছিল সেই চায়ের স্টল হুড়মুড় করে লোকে লোকারন্য। চায়ের তলানিটা শার্টের বুক পকেটে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।

অনেকক্ষণ হল অলি গলি চোরা পথে বাসায় ফেরা। সাড়ে সাতটার বিবিসি বাংলা সংবাদ। আগামীকাল সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। বিরোধীদলের শান্তিপূর্ন মিছিলে পুলিশের বিনা উস্কানীতে গুলি বর্ষনে চৌদ্দ বছরের এক কিশোর নিহত।

সরকারী প্রেস নোট, জনস্বার্থে পুলিশের উপর জংগী মিছিলের হামলা ঠেকাতে গিয়ে একজন সন্ত্রাসী ক্যাডার নিহত, দুই জন কনস্টেবল এবং একজন সাধারন পথচারী আহত !

পরেরদিন শুভ সকাল। দৈনিক প্রথম আলো।
ছবিসহ শিরোনামে অলংকৃত বিরোধী দলের একজন কর্মী, নিহত। আরো বেশ কিছু আহত, দীর্ঘশ্বাস নিলাম !

হেয়ালী টিন্টেড আয়না

হেয়ালী টিন্টেড আয়নাটা ফ্যাকাশে রংয়ের কাছে এক ফোঁটা

এক ফোটাই পানির ঝাপটায় দুমড়ানো হাতের ছাপে নিশ্বাস দীর্ঘশ্বাস রেখাচিত্রে।

বাঁকা হতে গিয়ে এলুমিনিয়াম দন্ড

হারায় কি হোল,

একটা নখের থাবায় একটা রংধনু,

রংয়েরা পেইন্টেড বার্জার কালার ব্যাংক হয়ে আজকাল আমাদের বেডরুমে আসে

যৌবন হারায়
কুৎসিত পোষাকে লীন হওয়া টিন্টেড শুধু সৌর প্যানেল নির্মানে।

আয়নাটা দুরে সরে সরে
স্লিম হতে হতে প্লাজমা টিভির পর্দায় লেগে থাকে,
রোমে তখন একজন সুদর্শন পুরূষ

স্যাক্সোফোন বাজাতে থাকেন।

নতুন জামা

একটা নতুন জামা পরবো বলে আজ সকাল থেকে সব কটা জামা খুলে রেখে

আদ্যন্ত আদিম হয়েছি।

বিকেল ঘনাতেই
পুরনো সবকটা ড্রাইওয়াশে রেখেছি।

রংবদলের খেলায় নতুন রং,

রিফু করা

উর্দিতে নতুন জামার সাঁজ

রংয়েরা মলিন হয়

আদিম হয়েছি; হয়েছি বহু আগে

তবুও কানে কানে চুপি চুপি বলি

বহুদিন ময়ুরাক্ষী দেখিনি,

শুনিনি প্রবাসী শব্দের মতো অচেনা পাখির ঘরে অ আ করতে করতে ডিমে তা দেয়া

কাকেরা গাংচিল প্রসব

যন্ত্রনা অনুভবে রোদের খেলা

ঘরের উঠান জুড়ে হঠাৎ বৃষ্টি পড়ে
রংয়েরা মলিন হয়

রিফুরা আলগা হতেই

খোলা জামার সুতোগুলো গিট লাগে।

শাওয়ারের সময় শেষ হয়ে এলে,

এতটা সময় পেরিয়ে

এভাবেই

দিন পার হয়ে হয়ে ক্লান্তিতে

তবুও নতুন জামা তোমাকে দেখেনি।

আছি সেই বনলতা

দূরের এক পথে এক বিকেল শেষে এসেছিলো চুপি চুপি ।

কাঁচা পথ ধরে নবরুপা সাজে
পাতারা সবুজ হয়ে
আনমনে বসেছিলো ।

কাছে কাছে

হাতে হাতে রেখে

গোধূলীর সমর্পনে

বলেছিলো
হারাবার নেই ভয় ;

এই আছি

আছি সেই

বনলতা

কল কল ঝরনাধারায় পাতার নড়ে উঠায়

পাখিরা কলকাকলীতে।

এই আছি আছি সেই
উড়ে যাওয়া শাড়ীর আঁচলে

কেঁপে উঠা ঠোটে
চুলেরা যেখানে খেলা করে।

আছি সেই বনলতা।

দিয়ে এলাম এক অর্ঘ্য

একটা ছুড়ির ভোঁতা অংশে
নিজেকে সঁপে দেওয়া তোমরা

অস্পৃশ্য মাংস হতে হতে
বার বার হেরে যাচ্ছ পবিত্রতায়,

পদস্খলন ঘটাচ্ছ দাম্পত্যের বেডশীটজুড়ে


একদিন বিমূঢ় ঝরা পাতা নেমে নেমে আসে পতনের কাছাকাছি

একটা যন্ত্র এ বার বার কেটে যাচ্ছে তাল

সুরের চন্দ্রিমা উদ্যান প্রান্ত বদল করে ফেলে অনায়াসে

অথচ দুজন পথিক ছিলো
আজ হলো তিন,

প্রতিটি প্লেট এক একটি বার্বিকিউ,
রংগিন ঝলকে অস্বচ্ছ মাংস হতে হতে
মনোজগতের সব বিস্ময় চোখে চোখে

রেখে

সাগর-লীনা তোমাদের চিঠির বাক্সে দিয়ে এলাম

গতকাল এক

অর্ঘ্য

ন ষ্টাচার

নষ্ট হতে গিয়ে ন ষ্টা আচার

শব্দটা প্রথম অভিধানে এলো............

তাতেই প্লুটো এবং অন্য একজন মারা গেলো।

শোকসভা হলো না,

হরতাল-বন্ধ কিছুই না,

একটি ল্যাম্পপোস্ট দাড়িয়ে গেলো

দূর্বোধ্য একটি অর্ঘ্য ধীরে ধীরে ডানা মেলতেই
দুপেগ হলো, থার্ড পেগে রেড ওয়াইন জমলো না

প্রকৃষ্ট একজন বীর পুরো বোতালটা চেটে পুটে .. ..

একাকী মরতে লাগলে শব আয়োজন ন ষ্টাচার হয়ে পড়ে

নেপচুনের পরিবারে ল্যাম্পপোস্ট দাড়িয়ে গেলো

সেই সন্ধ্যায় তিনজন সুপুরুষ আর একাকী সুকন্যা দাড়িয়ে ছিলো বলে
অন্ধকার নামতেই আলোরা ন ষ্টাচার ধবংস করে

পোষাক

পোষাক বদলেছি অনেকবার বোতাম ছিড়ে যাবার আগে,

রিফু করিয়েছি
একবার পকেট চেঞ্জ

প্রতিবার পোষাকেরা স্থানচ্যুত হওয়ার আগে এভাবেই..

বদলে গেছে।

ছোটবেলায় মা বকতো,
প্রায়শই পকেটের কোনায় ঝরনা কলমের অপবাদ।

ঝরনার কি দোষ, কখনো আমি ভুলতাম, কখনো সে নেমে আসতো সব বাধা পেরিয়ে।

কৈশোরে সিল্কি শার্টটা পুড়েছি বহুবার সিগারেটের ছোঁয়ায়।

একবার তো এমন পিটুনি পেলাম বোনাস হিসেবে, তিন সপ্তাহ আমার অনেককিছুই স্থানচ্যুত।

আঠারোতে এসে আবারো পোষাক বদলেছি চাওমিনে চাও আর তাহার অটোগ্রাফে। রেড চিলি’র মায়াবী রংয়ের সাথে কলারের কাছ ঘেষে অটোগ্রাফ, বেশ জমেছিলো সেদিন। আর বাড়ীসুদ্ধ কৈফিয়ত সে তো পরের বেলায়।


মধ্য ত্রিশে পোষাক বদলেছি মনে হয় না। এখনও সেই পুরোনো জিন্স, টি-শার্ট আর বাহারি ফতুয়ার পেইন্টিং আমার কাবার্ডে।

বদলেছে কচি হাতে দেয়ালিকা। একজন ঘরওয়ালি আর উনার তৈলচিত্র।

হাফলাইন ধরে

হাফ লাইন ধরে অনেকবার একটা উফ্‌ফ শব্দ পেয়েছি, যতবার কৈশোর পেরিয়েছি রাতজাগা ভোরে ।

টিনের ছাউনিতে আবদ্ধ ছাদ। রাস্তার পাশের চায়ের সেই তেজ, লবনের কড়া স্বাদ ! পরোটারা ভাজতেই ভাজতেই আধপোড়া; আধশোয়া। প্রতিবার পরোটারা খেলা করে; টগবগ করে অন্ত্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ।

হাফ লাইন ধরে অনেকবার একটা উফ্‌ফ শব্দ পেয়েছি। এবার পেলাম দুবার।

কাঁদা মাখা হাঁটা পথে কাঁচাবাজারটা রোদ-বৃষ্টি, নিরপেক্ষতায় নেই কোন বাছ-বিচার। সবকালে থকথকে ভেজা ভেজা। লেপ্টানো হাটু অবধি। যতবার যাই ততবার পণ করি, আর নয়। তবুও প্রতিবার যাই আধশোয়া; আধমাখা হয়ে আসি।

হাফ লাইন ধরে অনেকবার একটা উফ্‌ফ শব্দ পেয়েছি। এবার পেলাম একবার।
চেপে চেপে বাস ধরি। কখনোও টেম্পুর গায়ে ঝুলে থাকা সাবলীল। বিকেলের মহানগরে প্রতিবার কৌমার্য হারাই। কখনও মানি ব্যাগ। শানিন্তা প্রতিবার ভয় পায় ছিটকে পড়া; সোজা চলন- ট্রাকের গতির তীব্রতায়। তবুও বার বার চলে যায় জীবন আধশোয়ায়; আধ-উড়া আমি হয়ে।

হাফ লাইন ধরে অনেকবার একটা উফ্‌ফ শব্দ পেয়েছি। এবার পেলাম তিনবার।
ব্যাথা ! কেউ কি পেয়েছে? ব্যাথাবিলীন আশপাশ ছুঁয়েই তো এই হাফ লাইন।

হাফ লাইন ধরে নিজের কাছে প্রতিবার চেপে গেছি শব্দ; অনেক শব্দ।

অহনা তুমি হেঁটেছিলে

অহনা একপশলা বৃষ্টিতে ভিজতে গিয়ে

তুমি ঘাস ফড়িং হয়ে থাকো

নগ্ন অপরাজিতা ছুয়ে

নীল চুম্বনে ।


এক মুঠো রোদে শুকাতে গিয়ে

তুমি প্রজাপতি হয়ে থাকো

আবক্ষ মোনালিসা ছুয়ে

বিমিশ্র রংয়ে।

তুমি বেলকনি হয়ে গ্রোগ্রাসে গিলে ফেলো

রবিবার প্রতিবার।

বাতাসের তির্যকতায় তুমি ঘ্রাণ নাও

রোদের লাবণ্যে সোনালী ডানায়

তুমি স্নিগ্ধা,

বৃষ্টির ছাটে মেহগনি শব্দেরা চোখের কথা বলে।

রবিবাসরীয় এক বিকেলের কাছে

তোমাকে দেখেছিলাম ক্যাকটাস ফুলের একাকী অবসরে

তুমি হেঁটেছিলে এভেনিউ ধরে

মেলানো আঁচল মেলেছিলো ডানা

তুমি মেলেছিলে নির্ঝর দেহখানা ।

মথিত স্বপ্নেরা

মথিত স্নপ্নেরা ঘুম থেকে উঠে আকাশ চয়ন করে

উঠে যেতে থাকে

বাষ্পীভবনে

একটা জোনাকী জ্বলে থাকে


অবিনাশী রংয়ে মেহগনি কপাট খুলতেই থাকে
ধীরে
ধীরে
মেলে যেতে থাকা বাসন্তীরা উর্বশী হয়ে,

মেহগনি কপাট খুলে যেতেই
এক রাত্রি সমান নিরাকার সবুজগুলি হাঁটা ধরে
আইলের ট্র্যাক যতটা দেখা যায় ঠিক কাছাকাছি কোথাও

বাঁশঝাড়টা গতকালও সেখানে ছিলো

চাঁদের আলোকচ্ছটা ছিলো

কাজলা দিদি একপাশে দাড়িয়ে মিহি পাতায়


ওরা সোনালী কবিতায় কিছু স্বপ্ন ধারন করে লজ্জাবতী হতে থাকে ।

দক্ষিনায়নের অমোঘ ভায়োলেট সন্ধ্যা নামতেই বাতাসের থেমে যাওয়া গতিপথে
এক অলীক পুরুষ

নুইয়ে আসা এক রাত্রি

বাদামী ফ্যাকাশে রং হয়ে
গ্রীন হাউস খোঁজে

চুপকে চুপকে

ছায়াঘন এক রুপালী দুপুর এ,

স্বপ্ন মথিত হতে থাকে
আকাশ চয়িত।

জেগে থাকা ঘড়ি

রাত পৌনে বারটার হিম হিম বাতাসে হেঁটে যাই

একটা নেড়ি কুকুর পাশ কাটায়
কয়েকটা রিক্সা আমাকেই পার করে
আর একটা বাইক।


কুঁচকানো চামড়ার ভাঁজে ভাঁজে লোমেরা দাড়ায় হিম হিম বাতাসে।

গুন গুন শব্দে ছোট রাস্তায় ঢুকে পড়ি

পাড়ার পৌরবাতিগুলো একাকী জেগে,

হাস্নাহেনা ঝোপেরা কুন্ডলী পাকায় অবিষধর সাপেরা কিল বিল করে

শল্য চিকিৎসায় জোড়া লাগা হাড়েরা জানান দেয়
পথ আরো বাকি,আরো বাকি হেটে চলার।

রাত বাড়ে যৌবনে, সুঢৌল শরীরে ভাঁজে ভাঁজে
জেগে থাকা ঘড়ির ঘন্টা বাজে।

তুমি নিয়ে কথকতা


কি করো ?
কাজ নাকি ঘুরে বেড়াও। খুব বেশি ঘুরো না। মাঝে মাঝে লনে ফিরে এসো । দোল খাও । অর্কিড দেখো। হাত বুলাও।

একটা অর্কিড একটা সবুজ চোখ। সবুজের চোখে দৃষ্টি প্রসারিত আমি।


তোমার শাওয়ারটা না বেশ জমকালো ! ভেজা চুলে লেপ্টে থাকে মায়াবী টাওয়েল।

অনেকটা সময় নিয়ে ফিরে আসো আয়নার কাছে। আয়নার কাছে তোমার প্রতিবিম্বরা তোমাকে হার মানায়।
দেখেছে কখনো?


প্রতিবার আয়না অনেক তুমি হয়ে উঠে।

একজন রমনীর অভাববোধ

একজন রমনীর অভাববোধে অবৈতনিক প্রাণচাঞ্চল্যে কয়েকজন।

ওদেরকে এত করে বল্লাম, অযথা সময় নষ্ট করো না। আমাকে ডেকো না যেখানে আমি নিতান্ত মানানসই হওয়ার চেষ্টা করি না।

তবুও অভাববোধে আমি তো যাবোই। ভেবে নেবো এক পেগ তোমার। আরেক পেগ আমার। ভালোই হবে আরো একজন যদি তিনি আসেন।

তিনি আসবেন না। দুজনে জানতাম। উনার অর্ধাংগ আবার একটু রাশভারী । সহজে কবিতা গিলতে পারেন না। তবুও তিনি কথা দেন কথোপকথনে, হেসে উঠেন মুক্ত গদ্যে।

তিনি এলেন না, যদিও আজ মাসের ২৮ তারিখ । সেই একজন এই সময়ে বাহিরমুখী হতে লজ্জাবোধ করেন। তিনি একলা ঘরে বসে পোর্ট্রেট আকেঁন। পাবলোর কথা ভাবেন। এঞ্জেলো উনার খুউব প্রিয়। আজকাল নিয়মিত দ্য ভিঞ্চি কোড উদ্ধারে ব্যতিব্যস্ত।

সেই অভাববোধে দুজন প্রাণপুরুষ বেতন পাননি গত কয়েক মাস । আন্দোলনে ছিলেন। ভেবেছিলেন নতুন কিছু হবে এই ক্রান্তি সময়ে। তাও হল না, নতুন জমানার রসবোধে একজন রমনীর অভাবে কিছুই হলো না।

পুরো সন্ধ্যাটা মাটি হলো। হতাশ তারা এবং আমি হাটঁতে শুরু করি....

নিবু চা

প্রতিদিন বিকেলে নিবু আর চা পাতা মেশাতাম উষ্ণ পানির ফোটায় ফোটায়। এলাচ দানা। দারুচিনি ঘ্রান। লবংগ আর তেজপাতা স্বাদ।

শোবার ঘরে এক কোনে টাংগানো তোমার ছবি। আমারও। ঠিক ছুঁয়ে ছুঁয়ে।

টা হয়ে গেলো সবকিছু। আংগিনাও। তেতো হয়ে গেলো যখনি বেশ করে টিপলে। আর ওরা না থাকলে সব অর্থহীন।

গতকাল শেষ ল্যাপে এক কাপ নিবু চা হাতে দাড়ালে। বলেছিলাম ল্যাপ আর টপে থাকা রসায়নের কথকতা। সূর্যের আলোটা ক্ষীয়মান । তবুও টপ এন্ডে আমি আর একটা চা গাছ। এই অবয়বে তেষ্টা নিভে এলো।

কত করে বলেছিলাম, বেশি কড়া লিকারে শুধু নিবু চায়ের রসায়ন মিলে না। ল্যাপটপে আঁকা একটা ধ্রুপদী
কবিতার একটি মাত্র ষ্ট্যান্‌জা অপ্রাঞ্জল । গরম পানিরা একাকী অপ্রসন্ন ।

জানছি যত, ততই জোছনা রাত এলে প্রতিবার ঘুমাবার আগে রোজ এঁকে নেই ল্যাপটপে নিবুচায়ের ধ্রুপদী নৃত্য..

তুমি

লাল বাটিক জড়ানো
নিস্তব্ধ দাড়ানো ছবি সব কবিতা হয়
উজ্জলতায় এক রাশ মায়া হয়ে তুমি ।

যতবার লালেরা লাল হতে থাকে
ততবার সেই ছবি নেমে আসে
মোনালিসা হাসি হেসে উঠে
অনাবিল পরশ হয়ে তুমি।

বৃষ্টি ভেজা বিকেলে
রামধুন আঁকা সেই ছবি হতে
আঁচলেরা উড়ে যেতে চায়
মুক্ত বিহঙ্গে মুক্ত মনে
হয়ে শুধুই তুমি।

রাতের জোছনারা যতবার আলোকিত হয়
প্রতিবার নেভায় আধারের প্রতিচ্ছবি
তারারা কাছে আসে
হয়ে যায় শুধুই তুমি।

শূন্য ডাইরীতে শুকনো গোলাপ !

তারিখ : ১লা জুলাই, ২০৩০ইং

কবির শেষ চিরকুট
বালিশের নীচে সযতনে ভাঁজ করা।


” আমাকে মৃত ঘোষনা করো না প্লিজ !!
আমার সবকিছুই তোমাদের দিয়ে গেলাম
সামান্য যাই ছিলো রেখে গেলাম পুরোনো সেই বাক্সে।”

.. .. .... .. ..নিষ্প্রাণ দেহজ কবি,
চৌকাঠে সাদা ইউনিফর্ম শায়িত !!

আগরের সুরভী, দলে দলে শোক !


.. .. .. .. .. ..তারিখ: ২৪শে আগষ্ট,

২০৩০ইং

স্বজন, বন্ধুবান্ধব
গোলাকার বৈঠক

খোলা হবে কবির বাক্স পেটরা।

সময়: বিকেল সাড়ে তিন ছুঁই ছুঁই।

খোলা হলো বাক্স,
পুরোনা ডাইরী,
থেমে থাকা রিস্ট ওয়াচ ও
প্রিয় মানবীর রেশমী চুড়ি দু’খানা।

ভাঁজে ভাঁজে ডাইরী,
পৃষ্টার সবটাই খালি
শেষের আগে একটি পাতা বাদে

সেখানে সযতনে শুয়ে আছে
শুকনো গোলাপ

Friday, March 28, 2008

স্মৃতি

স্মৃতিকে বলেছিলাম,
যেদিন তোমার পঞ্চাশ হবে
সেদিন
আধপাকা চুলে
পাওয়ার গ্লাস চোখে
হোক শাড়িতে
তবুও
আমার দরজায় কড়া নেড়ো।

দু’জনে এক সাথে
সেদিন প্রথম মুখোমুখি হবো,
হাত ধরবো,
অপলক তাকিয়ে থাকবো।

লং ড্রাইভে যাবো।
বিকেলের সান্নিধ্যে সব ভুলে গিয়ে
অনুভবে একাকার হবো
নষ্টলজিয়ার পথ ধরে।

মৃদু হেসে বলেছিলে তুমি
আগে উনপঞ্চাশ তো হোক;
যদি তার আগেই বিস্মৃতির আড়ালে যাই
তাহলে কেন পঞ্চাশ ভাবনা।

জানোতো, বিস্মৃতির আবডালে প্রতিনিয়ত স্মৃতিরা হারায় ...
.. .. Memories are blown,
Where times are grown... ..


তাই ছত্রিশেই এসে সব ভাবনা
বিগত যৌবনা

ক্লান্তিতে একাকী হাঁটতে শুরু করে.........

শিশুতোষ

ক.
ছোট দুটি হাত
নিশপিশ করে চলে
বইয়ের পাতা, পেন্সিল (আর) খাতা।

এ ছাতাটা কাল?

আমাল ! আমাল

র্নিলোভ।

ছোট দুটি হাত, নিরীহ দুটি চোখ
হর হামেশা এধার ওধার, বার বার।

খ.
কখনও
টমের দৌড়
কখনও ছটফট জেরী
কখনও সিনড্রেলা;
কখনও আলাদীন

ঠাকুর মা’র ঝুলিতে ঝুলে থাকা সারাদিন
কার্টুন নেটওয়ার্ক আর বেবীজ ডে আউট।

কখনও
আ-আব্বু
টুমি বলো
কেন চাঁদমামা রাতে ওঠে?

প্রশ্নেরা বারে বারে আসে।

টম কেন জেরী নয়;
পাঁজী বুলডগ ?

চাঁদেরা কেন নয়;
দিনের আলোতে সূর্য ??


গ.

পেন্সিল
ছেড়া বই
অগোছালো ঘরময় খেলাঘর,
খেলার ফাঁকে ফাঁকে ঘুম।

পলীক্ষা
কেন দেবো?

আ-আব্বু টুমি চলো
এবালে টুমি আমাল পাশে।


খিদে কেন এত?
মুলতবী এ বেলা
প্রতিবার খেতে হয় নাকি ?
দৌড় !

দে ছুট,
পেছনে আম্মু, সামনে
দাদুর কোল জুড়ে বেষ্টনী।

ছাড় না ওকে,

দাদুর নিরাপত্তা
প্রশয়!!


শিশুতোষ
বাল্যতা এবং
র্নিলোভ বেড়ে উঠা
প্রতিটি মানব শিশুর হোক।

গড়ে তুলি অকাতর স্নেহ, ভালবাসা ও প্রশ্রয়ে
প্রতিটি নবজাতক বেড়ে উঠুক এমন আশ্রয়ে।

সে নীলা

নীলা বলেই সে ভাবতেই ভালবাসে
কখনো বেতার ঘোষনায়
রংয়েরা মলিন হলে দৃশ্যমান
তারপর সর্বেসর্বা ভাবতেই পুলকিত
এশা রাতের শ্রাবনে প্রার্থনায়
সে হরদম নীলাম্বরী।

প্রহেলিকায় ঘোষনা আসে মিহি একটি কবিতা
সংলাপে শুধুই ধুসর
আকাশে
গোলাপী আভায় কমলালেবুর কোয়ারা
উড়ে আসে
ছোঁয়
রস রস আকাশে অনেকগুলি উড়ে যায়

ডানারা সে রাতের খাবারে নীলাভ আলো
নিজেকেই জ্বালিয়ে রাখে।

গভীরতর চাঁদেরা একাকী নিশাচর
কিছু জোছনা বিলাতে থাকে
সে নীল অবগাহনে

নীলা

নীলাভ

নীলাম্বরী হতে থাকে

প্রখর মানব

একফালি চাঁদেরা ফালি ফালি করে কাটা হতে থাকে।

একজন প্রখর মানব নিজেকে সর্বজান্তা ভেবে
খোয়াবনামা খোলেন

অগৌরবীয় কিছু শবদে তিনি নিজেকে আত্মমগ্নতায় ডোবান
সৌরভীয় কিছু বচনে
টিয়া পাখির বোলবাল সব প্রখর রোদে তছনছ হয়

হাতে নেমে আসে খড়্‌গ সূর্যের আর্যতায়
ক্রমাগত দূর্বোধ্যতায় ইনকারা
সোনার পিতল বাটি আর
চকমকি পাথর খোঁজে

প্রতি রাতে তিনি ডুবে যেতে যেতে
ব্লু হেভেন খোলেন
ভক্তেরা যতই আবেগের ডালি খোলে
ততবার তিনি নিজেকেই তুর্কী ভাবেন
অবোধ অভিধানে নিজের প্রমত্ততায়
ক্যাম্প ফায়ার জ্বালান
শরতের বিকেলে

তিনি প্রতিটি ছুড়ির ছোঁয়ায় একশটি কবিতা ডাকেন
কবিতারা দে দৌড়
কয়লার ভাটিতে আজ রাতের খাবার !

প্রখর মানব শুভ্র সকালে ফালি ফালি চাঁদ খেতে শুরু করেন।

গিটার

বহুক্ষন ধরে
বেশ টান টান করে বাধা
গিটারের শেষ তারটা বেজেছিল অনবরত
আংগুলের টানে টানে বারে বারে কেপে উঠা
একতারা !

দেয়ালে ঝোলানো পোর্টেট এ
ড্রয়িং রুমের উত্তরের দেয়ালে আড়াআড়ি ভাবে
এক প্রস্থে
দুজন কমনীয়া ছোঁয় ছোঁয় গিটারটা শেষ তার,

একজন নুপুরে আছড়ে ফেলে বিছানো গালিচা
আরেকজন কথা বলে আলিংগনে।

আমি শুধু সুধা পান করি
ভালবাসি
গিটার
ছিড়ে ফেলি পোর্টেট আর তার ।

তুমি আছো, তুমি নেই

তোমার দেখা নেই অনেক টা বছর ।

কত শরৎ এলো গেলো, কত মধু পূর্ণিমা ।

তুমি রয়ে গেলে দূরান্তে
দুরতমা এক দ্বীপে এর

নীড় ঝরা বসতিতে।

প্রতিটি অমাবস্যায় অন্ধকার রাত্রিতে আলো জ্বলে,
তোমার স্ফটিকতা য় দুর; থেকে থেকে চলে আসা নিশ্চল সমুদ্রের কাছাকাছি
মহাদেশীয় এক নৈকট্যে
আমি অনুভব করে যাই,
তুমি নেই তুমি আছো ।

তুমি আছো হয়তবা
অনেকটা প্রহর জুড়ে
যতটা পথ পাড়ি দিয়ে আজ শরৎ হেমন্ত কাছের শীত।

তবুও তুমি আছো
তুমি নেই অনেকটা বছর।

সফেদ বাড়ীর ভাড়াটিয়া

একটা সফেদ বাড়ী উড়ে এসে পড়ে
আমাদের লাগোয়া খিড়কি।

হাত বের হয়ে আসে হাতার ভিতর থেকে
বোতামগুলি ঝরঝরে হয়
বাতাসের নির্লিপ্ত প্রবঞ্চনা ধীরে ধীরে
টুক পকেটটা বুক পকেট হতে থাকে।

স ফেদ শুধুই বিচ্ছেদ

বাড়ী কিছুটা নারীর মতোন
কুহেলিকা;

দেয়া আল মিশে যেতে শস্যের জলাভুমি।

একটা টাই ছিলো বহু আগে
সেখানে ছিলো অপরাজিতা ফুলের মেলে ধরা জংলা
আমাদের লাগোয়া খিড়কিতে বৃষ্টির জল !

একটা রড বেঁকে যেতে যেতে প্রতিবন্ধী
বহু আগে পো লিও ছিলো আমাদের,

গত বায়াত্তর ঘন্টায় তিনশ মিলি রেকর্ড
অরুনাদের বাড়ীর উঠান থৈ থৈ
আর
সফেদ বাড়ীর ভাড়াটিয়া
যায় নি কখনো;

থাকেনি
প্রতিবন্ধনে আছড়ে পড়েছে প্রতি সূর্যগ্রহনের লাবন্য প্রভায় !

শিশু জন্ম

আইফেল টাওয়ার,
লিবার্টি স্তম্ভ অম্লান
তবুও বিধ্বস্থ জমজ শিখর,

ধাতব র্নিমান ধ্বংসে
চির নিদ্রায় হাজার জন্ম

ফরাসী সৌরভ
সিডনি অপেরা থিয়েটারে সেক্সপীয়ার,

তবুও হিমায়িত স্তরে লাল রং
মানুষেরা ঘন ঘন বদলায়
উড়ে যায় বোমারুরা,
মিলিত বিস্ফোরন !!!

এক শিশু কদাকার মৃত্যুতে
আলিংগনে আবদ্ধ শেষ নিদ্রায়,
মায়ের ভাষা বোঝার আগেই
বুঝে নিতে হয়
ধাবমান

সভ্যতার ইস্পাত মলাটে

বাড়ন্ত মানুষের স্বরলিপি
প্রতিটি শুভ্র সকালে নিস্ফল এক শিশু জন্ম কালো চাঁদরে !!!!

বোয়িং বিজি০৪

সন্ধ্যা নামতেই থাকে ডুপ্লেক্স বাড়ির সিড়ি বেয়ে
তারপর ড্রেসিং গাউন পরে লাল মরিচ
এক্সিলেটর দাবায়
সেভেন হর্স পাওয়ার দিয়ে ঘোড়ার সংগমে

ঘুম ভাংগে
ভাংগে
আমার চোখের
র্কনিয়া কানায় কানায় তীব্র জলে ডুবে থাকে
ব্ল্যাকহোল ভেংগে ভেংগে
ফোটারা পড়ে

রসনা বিলাস করে আমার ব্রেইন সেল

আমি কলা বিলাই সন্ধ্যা নামতেই
আকাশ ঝড়ে ঝরে রোদ রোদেরা ঝুলতে থাকে কার্নিশ

আমি টেবিল চেয়ার খেতে থাকি
বালিশেরা আমাকে ছিবড়ে ফেলে
তুলোরা উড়ে
সন্ধ্যার গভীর ঢুকে যেতে
মাছেরা আমার মাথার ভিতর দিয়ে যায়

প্যান্টি খুলে খুলে পড়ে ঘাম

বোয়িং এরাইভাল হয়ে এলো ভোর রাত ৪.৩০ টায়
বিজি০৪ কাঁচা রাস্তায় হাটতে থাকে অবলীলায়

রাতের দ্বিপ্রহর

মাঝে মাঝে
সপ্রতিভ এক একটা ক্ষন ফিরে ফিরে আসে।

অবসন্ন মৌনতায়
রাতের দ্বিপ্রহর।

ঘড়ির শব্দেরা টিক টিক শব্দে জেগে থাকে।
সুপ্রশস্ত খোলা কাঠামো
ভাংগা গড়া শেষে
এলানো বালিশ জড়ানো
অগোছালো বেডশীট সিঞ্চনে ক্লান্ত পড়ে থাকা অবগুন্ঠন
অধীর আগ্রহে ভালো লাগা এক সাক্ষর।

তৃপ্ত চাতকিনী অতৃপ্তি লুকায়
যতটুকু ছিলো ততটুকু মেটায়।
মৌনতায় পড়ে যাওয়া গ্লাসসাইড টেবিল গড়িয়ে ভেজায় ফ্লোর।

কাঁচের টুকরো
ভাংগা কাঁচ
মৌনতা ভেংগে খান খান
চুরমার।

শব্দেরা জাগে
রাতের দ্বিপ্রহরে।
আর কেউ জাগে না ???

কালের যৌবন

দ্রুততর সময়ের করিডোর
পেরোতে পেরোতে
প্রতিটি পদচিহ্ন
আধো অন্ধকারে একটা করে
পিলারের স্পর্শ।

অমসৃন আস্তর, খসখসে চামড়া
কালের যৌবনে
প্রমোদ বালিকারা এসেছিলো কোন এক রাতে।

নুপুরের শব্দে সদ্য নেশা করা মাতাল
আজো ঘোর অমানিশায় হাতরে ফিরে নিশ্চুপ এক বালিকা
যৌবনের অপেক্ষায়।

বার্নিং ট্রেইন

অনিশ্চিত কোলাহলে জ্বলন্ত গাড়ি।

গতিতে আর অবয়বে
এক শ্বেত ট্রেইন
নিজেকে ছড়াতে আগুন ঝড়ায়
সমান্তরাল লাইনে
কাছের লোকালয়।

প্রাগৌতিহাসিকবোধ লোপে
ট্রেইন পরিচালক ভুলে যেতে থাকেন রবীন্দ্রনাথ !

বিস্মরনে পদাবলী শেষ বিকেলে পেছনের বগীটা জ্বলতে থাকে।

বার্নিং ট্রেইন মরুভুমির বুক চিড়ে একাকী !

দোপাট্টা

ভেংগে আসছে দোপাট্টার নিজের শরীর ক্রমশ !

প্রতিবিপ্লবে
একলা পড়ে থাকা পান্থ পথ ছেড়ে
রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে রংগিন দো পাট্টা

এয়ারপোর্ট রোড ধরে সামনে এগুতে থাকা

লং ড্রাইভ।

এক পাশে ঝুলে যেতে যেতে
একজন নারী বেআব্রু হন।

কতটা দো পাট্টা ঘর ছেড়ে বাইরে রাত্রিবাস করলে বেআব্রু বলা যায় ?

বেড়ালটা বেশ কেঁদেছিলো

গত রাতে টিনের চালে বেড়ালটা বেশ কেঁদেছিলো
আর তুমি তর তর করে লেবাস খুলছিলে
একটা একটা করে সুতোরা আল গা হচ্ছিল
ধুপ ধাপ
বেড়ালের পায়ের শব্দ নাকি হয় না
তাহলে কিসের শব্দ.......পুরুষ বেড়ালের অবাধ্যতার?

তুমি অ বসনা হচ্ছিলে আর শব দ বাড়ছিলো
কঠিন শব্দ
কান্নার মাদকীয়তা
তুমি এলিয়ে গিয়ে টিনের চালে বেড়াল !

দেয়ালের অন্য পাশে প্রতি বেশী
২ জন পুরুষ চারজন রমনীর সাথে দহরম মহরম

তুমি তো জানো
শোকের মাসে আমি তোমাকে ছুঁই না !

প্রতিদিন সাদা সকালে

কতটা বলা গেলে বক্তব্য বলা যায়,কতটা খোলা হলে নগ্ন ।

কতটা ??????????

এই তো সামান্য। এক ক্রোশ পরেই আমার বাড়ি। ঐ দুর পাহাড়ের ঠিক পেছনে যে গ্রাম ।

তার পরের পাহাড়ে আমার দাদা থাকেন। কতটা বুড়ো হলো দাদা বলা যায়।

কতটা যৌবন এলে যুবতী বলা যায়। পোয়াতি তো বলিনি ।
বলেছি মোটামুটি । চলনসই বললেই হতো। গ্রাম তো পাড়ি দিতে হতো না।
পাহাড়ের ওপাড়ে এক হ্রদ আছে । কিশোরীরা প্রায়ই ভর দুপুরে জলকেলী করে।

কখনও খোলা দেখিনি কিছুই। কখনো বলি নি ।

বলিনি তাতে কি ? বক্তব্য হলো কি ??

বিকেল বেলায় কোন বক্তব্য দিতে নেই দাদাজী প্রায়ই বলতেন। বেআব্রু তো কোন বেলায় হতে নেই।

প্রতিদিন সাদা সকালে, আমি তাই পাহাড়ের কাছে গিয়ে যা বলার বলি।
আকাশের কাছে গিয়ে যা খোলার খুলে আসি।

মৎস্যকন্যা

প্রতিদিন একটি পাখি উড়ে এসে বসে নিম গাছের সবচেয়ে নিচের ডালে।

নিমের পাতারা লাজুক ।

খোলা চুল। ভেজা লেপ্টানো । দুটি বাহু নেমে আসে কাঁধ বেয়ে।

পাখিরা প্রায়ই আসে যখনি সে আসে । দাড়ায়। নিম পাতারা নেচে উঠে। ওষধি হতে থাকে দেহমন।

রোগেরা দুরে সরে যায়। আমার আংগিনায় স্বচ্ছ হৃদ উঠে আসে। হ্রদের পানিতে পদ্ম পাতার ভেলা।

পাতারা ভেসে বেড়ায়।

বাতাস বয়ে যায় । নিম পাতা পড়ে। হ্রদের প্রাণ ফিরে আসে। মৎস্যকন্যা তুমি পানি ছেড়ে নিম গাছের নিচে।

আসাদ

আসাদের গায়ে শার্ট ছিলো। লাল রক্তে ডুবে যাওয়া আঁকা বাংলাদেশ।

অনেকে তো দেখে নি । তুমি কি দেখেছো ?

মনেরও ভুল হতে পারে। মনের বা কি দোষ।

লাল আইসক্রিম কতটা চেখে নিলে রক্ত লাল হয় তা নিয়ে ভেবেছি অনেক।

যেদিন চলে গেলেন কবি সেদিন বেশ ইচ্ছে হলো জানতে, আসাদ কি কবিতা ভালবাসতো?

কেউ মনে হয় কাউকেই বলে নি রক্তে মাখা আসাদ শুধু বাংলায় জন্মায়। কেউ না; তিনিও বলে গেলেন না ।

তবুও জানতাম, আসাদের গায়ে শার্ট ছিলো। রক্ত লাল বৃত্ত বুকে ধারন করা বাংলাদেশ!

জীবন্ত ষ্টোর হাউস

আমি জীবন্ত ষ্টোর হাউস। শব্দেরা আমার ভিতর এসে ঢুকে যেতে চায়। আমি সব ঢুকাতে থাকি। নিরাপদ করে রাখি।

একজন প্রিন্সেস এসেছিলো আমার ষ্টোর হাউসে। অভিবাদন জানাতে দ্বিধা করিনি। তার শব্দেরা সে দিয়েছিলো আমাকেই।

একজন আধুনিক নারী এসেছিলো আমার ষ্টোর হাউসে। তাকেও ফিরাইনি। বেশ ঝলমলে ছিলো তার শব্দগুলো। তা ও সযতনে রেখেছি।

একটি বটবৃক্ষ এসেছিলো ছায়া নিয়ে আমার ষ্টোর হাউসে। আমি সবটুকু ছায়া নিয়েছি বুকের মধ্যে।

একটি আলোর শিখা এসেছিলো আমার ষ্টোর হাউসে। আলোর শিখায় বারবার নিজেকে আলোকিত করেছি। ধারন করেছি।

একজন মুনি এসেছিলেন আমার ষ্টোর হাউসে। উনাকে বুকের মধ্যে ধারন করেছি । সশ্রদ্ধ ভালবাসায় উনি দিলেন অনেক কিছুই।

একটি শিশু এসেছিলো আমার ষ্টোর হাউসে। ওকে অনেকটা আদর দিয়েছি। সে আর যাই নি ফিরে।

আমি পুরো চিত্রনাট্য পুরে নিতে থাকি। যেভাবেই আসুক আমার চৌকোঠে।

প্রতিদিন একটা একটা করে শব্দ। একটা বাক্য হয়। বাক্যরা ভালোবাসা হয়। ঘৃনা হয় । সংলাপ হয়। তবুও আমার ষ্টোর হাউস পরিপূর্ণ হয় না।

চিত্রা একটি ব্লগের নাম

একটা ব্লগ খুলেছি।

খুলছি অনেকগুলি সুতো।
হরিণিরা আসবেই। আরো আসতে থাকবে।
ব্লগের মেলায় জলজ্যান্ত হরিণিরা হেটে বেড়াবেই।

আমার ব্লগের চার পাশ ঘিরে সবুজ বনায়ন।

বাঁদরেরা নিষিদ্ধ। গাছের পাতার শুকাবে না।
চিরহরিৎ গাছেরা ব্লো আপ হতে থাকবেই।

রোজ রোজ একটা একটা করে পাতা গজাবে। একটা একটা করে সুতো বেরোবে। একটা একটা করে হরিণি আসবে।

চিত্রা নদীর জলে চিরহরিৎ ছায়ারা ভেজাবে মুখ।

সুতোরা ভিজবে। ভিজতেই থাকবে।

ছায়ার শীতলতায় অনেকে জানতো চিত্রা একটি হরিণের নাম, চিত্রা একটি নদীর নাম।

আজ তুমি শুধু জানলে চিত্রা তোমার নাম। চিত্রা তুমি একটি ব্লগের নাম ।

ইঁদুর

সে বলেছিলো
আমার অপটিক্যাল চেহারার ট্রান্সপারেন্ট মাউস প্রতিবার দুবার বাচ্চা জন্ম দেয়।

আমিও জানতাম না।

গত দুপুরে পিসি টা হ্যাংগড হলো।
মাউসটা দাড়িয়ে গেলো।
আর কত প্রসব যন্ত্রনা অনুভব করা যায়।

প্রতিদিন যতবার ছুটোছুটি করে তার চেয়ে বেশি ক্লিক করে।
একবার তার হাত ধরতে ছুটে, পরের বার অবচেতনে।
রেগে গেলেন তিনি, আমার প্রিয় অর্ধাংগিনি।

রাগবেনি তো, ইঁদুরটা বেশ বাড়াবড়ি করে যাচ্ছিল এতদিন।
বেশ হলো। অরকুটে আর জমজ সন্তানেরা জন্ম নেবে না। পিসিটাও বিশ্রাম পাবে।

উনার রান্নাঘরে কেউ লুকোচুরি খেলবে না।

ক্রমশ আমি ঢুকে যাই

একটা লাশ। আরেকটা।

আমার প্রিয় গণতন্ত্র মুচকি হাসে!

হেমন্তের গায়ে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ বর্ণিল কবিতা হয়।

মহানগর কাঁদতে থাকে রোদের আগুনে, দ্রুত বেগে চলে যান দশজন।
এক জন রয়ে যান।

মৃত মানুষেরা বলতেই পারে না কতটা কুয়াশা আজকের সকালে, কতটা সীসা মিশে আছে মহানগরীর নিশ্বাসে।

হেমন্তের তরুনীরা রাস্তায় নেমে নেমে আগুন হতে থাকে ।
তরুনেরা লাল লাল বাদ্য। রোদেলা হতে থাকা বিকেল আমি হাতে নেই, তারপর রোদের ভেতর কাঁথা মুড়ে ঢুকে পড়ি।

এক ফালি রোদের ভেতরে ঢুকে যেতে কতটা হেমন্ত লাগে জানি না।
তবুও ক্রমশ ভেতরে ঢুকতেই থাকি।

লাল চুড়ি

আজ চলে যাবো।

চুড়িঘর দরজার দিকে তাকিয়ে থাকে।

ধ্রুব একটা সত্য ওকে কখনো বলা হয়নি, বলতে ইচ্ছে হতেই দুহাতে দুটো লাল চুড়ি সরে যায়।

ওরা সরে গেলেই আমি কিছুই বলি না। মেঝের কাছাকাছি লাল হয়ে যাওয়া আলতা।

ওরা কাঁদে। টুকরা টুকরা লাল চুড়িটা ক্রমশ সে হতে থাকে। ফোঁটা ফোঁটা ক্ষরন। রক্ত ক্ষরন।

অশ্রুরা রক্ত হতে থাকে। আর ওদেরকে আমি রেশমী বলে ডাকতে থাকি।

বছর বছর ইদ

প্রতি বছর ঈদ আসে, আসতেই থাকে নিষ্পাপ আকুতি নিয়ে ।

ছোটবেলায় কোলাকুলি;
বাড়ি বাড়ি ঘুরে ফেরা, সেমাইয়ের মিষ্টি প্রলোভন
সালামী যাই পাই তাই তো পাওয়া।

বছর বছর বাড়তেই থাকে।

চাঁদ দেখার রাতে যতই শোরগোল হোক
তবুও ছোটবেলার শেরোয়ানী এবং আস্তিন সরে আসে
ধীরে ধীরে,
কয়েক বছর গড়াতেই কনুই ছোঁয়।

গত কয়েক বছর ধরে
ছেড়ে যাওয়া হয়না বৃষ্টি শুধু তোমাকেই।

প্রথম বছর থেকে এ বছর ছয়টা বছর, প্রতি বছর একটা করে রুমাল তোমার দেওয়া চাই।

আমি পাই; সর্বস্ব বিলাই।

শেরোয়ানীর বদলে রুমাল । কৈশোরের বদলে তুমি ।

একটা রুমাল আর শেরোয়ানী কাছে আসে। আতর হয়ে তুমি আর ঈদ।

গনতন্ত্রের মহাসড়ক প্রশস্ত হতে থাকে

অন্ধকারের সন্ধ্যায় কয়েকজন ভিন্ন পক্ষের তারা
এবং
তাদের অনুগত উঁই পোকারা পতাকা বয়ে নিয়ে যায়
গভীর রাতের দিকে।


লাশেরা হামাগুড়ি দিয়ে চলে আসে জিরো পয়েন্ট

প্রজাতন্ত্রের ৫৮নং বাড়িটা বিভক্ত হয়,
গণতন্ত্রের মহাসড়কে রোড ডিভাইডার প্রশস্ত হতে থাকে ।


চৌরাস্তার মোড় দুরে সরে যেতে থাকে ক্রমশ
যতটা দুরে সরে গেলে
পায়ের তলার মাটিরা অর্নুবর হয়ে যায়।


টায়ারের পোড়া গন্ধে একটা বাস দ্রুত চলে যায়
বোনেরা বাড়ি ফেরে র্নিজিব শাপলা হয়ে,লাল টুকটুকে শাপলা !

একটা লাশ আরেকটা লাশের মিছিলে যোগ দেয়,

আমি ঠিক তাদের পিছনে
যেখানে
গণতন্ত্রের মহাসড়ক ভেদ করে....

কাটা মাংস

একটা কাটা মাংস ঝরে পড়তেই মাংসের দোকানে জমায়েত সম্মানিত ক্রেতারা পেরেশান,
কখন মাংসেরা উঠে আসবে কিচেনে
তত্ত্বাবধাকীয় ডিনারের সময় হয়ে এলো প্রায়।

আমার টেবিলে আজ কিছুই নেই
নেই মাংস
নেই ফ্রাইড রাইস,
গতকাল যা ছিলো আজো তাই।


ওদেরতো মার্সিডিজ আছে
আছে চৌকিদার
আছে সংলাপ
আছে প্রমোদবিহার
আছে ডিনার আর কাটা মাংস
আর আমি শুধু বহাল তবিয়তে আছি!

বড়ই দূর্ভাগা !

আমি বাবা হই

বড়ো হলে তোর বাবার মতো হোস ! বলেছিলো মা
বুকের আচঁলে বেধে
রাতের শূন্যতায়।

বাবা অফিসে যাবার আগে ব্রেকফাস্ট,
তোর পরীক্ষা কবে রে?
এই তো আঠারোতে ।

কেমন চলছে সব ? মোটামুটি।


আপু গতকাল চিঠি দিলো আসছি রে আগামী ছুটিতে, তোর দুলাভাইয়ের না ম্যালা কাজ।

কেউ আসে নি !

প্রতিবার আপুর চিঠিরা বিকেলের আলো হয়ে
ধাঁধায় ফেলে রেখে যায় ,
খোলা বইয়েরা ছিড়ে ছিড়ে পড়ে
যতবার বাবার মতো হতে চাই,

রাতের বিছানায় মা যতবার ফিরে আসে
ততবার কষ্টি পাথর বুকে চাপা দিয়ে
শূন্য আকাশ হয়ে যাই।

সতেরোতে একাকী রাত। জানালাটা খোলা পড়ে আজ পড়ার টেবিলে সটান।
কলমেরা খেলা করে ছাদের কপাল,
একাকী স্বপ্নেরা অন্ধকার কালো মেঝেতে অমসৃন বালিরা নড়েচড়ে।
রাত পেরোয় ; দিনেরা আসে বেডরুমে ।

বাইরের কোলাহল ছেড়ে সময়েরা একের পর এক মাইলস্টোন পার করে মায়ের ছবিটা দূরে সরে যেতে থাকে,

ধোঁয়াটে আলোকচ্ছটায় বাবার ইজি চেয়ারে ।

আমি বাবা হই, রাতের অন্ধকারে বাড়ি ফিরি অচেতন মগ্নতায়।

একটি পান দোকান এবং

ট্রাফিক মোড়েই পান দোকানটা। পাশে টেম্পু ষ্ট্যান্ড। এলোমেলো গুচ্ছতায় দাড়ানো কিছু মানুষ।

পান দোকানদার প্রায়শই মানুষ গোনেন, মাঝে মাঝে কমে যায়, বাড়ে কদাচিত।

মেরূন রংয়ের শাড়ী পরা তরুনীটা মনে হয় আজ শেষ যাবে। আগামীকাল সাদা-নীল স্ট্রাইপড শার্ট পরা ভদ্রলোক একাকী যাবেন।

একজন আনিকা কমে যাবে, আরেকজন মিসেস আতিক ডিনারের অপেক্ষায় থাকবেন।

বয়স তো কম হলো না, বিয়াল্লিশ গত চৈত্রে হলো আর টেম্পু ষ্ট্যান্ডে নয়টা বছর।

একজন মানুষ হিসেবে এই কম কি , ঘ্রান নেওয়ার ও দেওয়ার ।

কবিতার সাথে বসবাস

ঘূর্ণাক্ষরে বোঝা যায়নি গতকাল রাতেও
এরাতে আমি ঘুমাবো না।

ঘুম ঘুমু চোখে আমি কবিতার ট্র্যাক ধরে তাজিংডং খুঁজে বেড়াব ।
তুমি বিনদাস ঘুমিয়ে। নরম নরম ঘুমে রেশম পোকারা ঘুড়ে বেড়াবে স্লিপলেস সবকিছু।

এক পাল উঁই পোকা কেটে নিতে থাকবে আমার রাতের ঘুম। তিনশত আটান্নটা বই। এগারটি উইলো। আর কিছুই না, সকাল হতেই আমি নিদ্রাবিলাসী হবো।
চা পাতায় কফি মেশাবো আর ছেড়া কবিতা জড়ো করে সের দরে নিয়ে যাবো ফেরিওয়ালার কাছে।
কমলিকা আমার মেসঘরে আসতেই দুপুরের ব্যবস্থা তো হলো। সন্ধ্যা কাছে আসতেই লুকালাম মুখ।
শাড়ীটার আঁচল গুটিয়ে সানসেটে শব্দজট হল।

গতকাল শেষ শপিংয়ে সড়কজটে আমি তিন ঘন্টা ঠায় ছিলাম নিউ মার্কেট মোড়ে। কবিতা, ওকে ভাঁজছিলাম পুরানো তেলে।
তারপরও ভাবিনি আজ সারারাত আমি ঘুমের সাথে কানামাছি খেলবো।
কবিতার সাথে পাশা খেলা।
রাত বারটার ঘন্টা বাজে নি বলে
গীর্জার কথা ভাবতেই পারছিনা।
ঘন্টাবাদকেরা আজ হয়তবা ছুটিতে কিংবা ঘুমে নিমগ্ন
কিংবা
নিস্ফলা কবিতা পাঠের আসরে মাতোয়ারা রাতের যৌবন উলটে পালটে দেখছে
আর বলছে
আহ ! কি মধুর তুমি কবিতা ?
যতটা পান করি তার
চেয়ে বেশি জিভে লেগে থাকো ।
ওর সাথে গতকাল বিকেলেই দেখা। গতকাল বলতেই অনেকগুলি গত।
বেশ জমকালো রংয়ে একটা সিফন জড়িয়ে আলতো ছুঁয়েছিল।
লেপ্টেছিলো
অবয়বে গভীর রাতের কবিতার মতো।
স্বচ্ছ হতে স্বচ্ছতর।
প্রতিটি ছত্রে সে ছিলো। কবিতা ছিলো।
বছর দশেক পরে গতকাল ছিলো।
র্নিলিপ্ত ছিলে বহুদিন।
একজন অনামিকার হাত ধরে চৌরাস্তর মোড়ে দু জন পুরুষ,
হাতে হাতে মুক্তির আশ্বাস পেয়ে তৃতীয় পুরুষ সংগে নিলে।
ত্রিমাত্রিক হয়ে গেলে ।
তোমার অনামিকায় যে আংটিটা ছিলো বলেছিলে এটা ওর দেয়া।
এক কবির দেওয়া।
সেই ও খুঁজে পেলাম না।
তবুও আজ দুপুরে কবিতা পেলাম ত্রিমাত্রিক ঢংয়ে।
মিতার চিঠি পেলাম বহুদিন পরে। চিঠিটাই। শুধু।

একটা কবিতা পাঠালাম ফেরত খামে। কবিতাই শুধু। পাল্টা চিঠি পাই নি। মিতাকে ও না।
আরো একটা কবিতা দিন গুনছে আরো একটা ফেরত খামের।
তিনি আসবেন বলেছিলেন।
তিনি আসলে সন্ধ্যা নামবে,
সন্ধ্যা নামতেই বাদকদল রাস্তয় নামবে। সড়ক বাতি উজ্জল হবে ।
ঝরানো মেদ আর টানটান করে বাঁধা সমস্ত শরীর নিয়ে
তিনি আসবেন বলেই মুক্তির স্বাদ পেতে থাকে তিন রং মলাট
কবিতার বই হাতে কফির আড্ডা ।

এবার ভুল নয়, তিনি এসে চলে গেলেন, হাতে দিয়ে গেলেন এক পাতার নামহীন কবিতা।

সে আসে ধীরে

সে আসে ধীরে। আমিও । সুপার মডেল হবে বলে এসেছিলো এই কসমোপলিটন নগরীতে, বেশ দেরী করে ।

সাবওয়েতে থেমে
ডাউন টাউনের খোঁজে
ধীরে ধীরে পেন্সিল পা ফেলা একটা রোলার স্কেটার নামতে থাকেই।

আমার তর্জনীতে আংগুল রেখে ব্যালেরিনা সাজতে থাকে। আমি চুষে নিতে থাকি বিদগ্ধ চোখ।

-সুপারষ্টোর বন্ধ হবে রাত ১২ টায়। জানা ছিলো । লং ড্রাইভ শেষে রাতের ডিনারটাও।
আমি ধীরে ধীরে পিষে যেতে থাকি সিল্কী চাঁদরে। সকালটা একাকী রোদ ঝরায় ওয়াকিং
ডিসটেন্সে। কোমড়ে হাত রেখে আমি ফিগারিনা গিলতে থাকি ।

প্রতিবার সে আসে ধীরে।

যৌবন পেরোতেই থাকে।

যৌবন আমার পেরোবেই। যেভাবে কৈশোর।

মায়ের হাত না থাকুক, মা তো থাকেন । আমার শোয়ার ঘরে, পড়ার টেবিল। আমার সবকিছুতেই।

বাবা গতকাল গেলেন বিজনেস মিটিংয়ে। আমি একা উদ্দাম ।

আপু তো সেই বহু আগে ঘরছাড়া এক কবিতা।

আমি সকাল দেখি, কাক দেখি, শিশির ভেজা পায়ে দাদু দেখি, আন্টি দেখি।

আমি দুপুর দেখি,
রাস্তায় রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম
বন্ধুদের সাথে সিগারেট
জম্পেস এক আধুনিকার হাই হিল দেখি।

আমি বিকেল দেখি,
ধুসর হতে থাকা বাতাসে ধুলোরা ঘনীভুত হলে, ছাদ দেখি।


আমি সন্ধ্যাটা প্রায়শই দেখি মলিদের বাসায়,
ফাটাফাটি মাদকতায় মগ্ন হই, গভীরতর হই।

আমি রাত দেখি
শরীরটা উগ্র হতে থাকে,
সুতোরা তুলতে থাকে দিনের ক্লান্তি

-যৌবন পেরোতেই থাকে।

আঁখি

আইস কুল কিছুটা সময় ধার করেছিলাম বলেই
টাইট জিন্স এর আদলে রমনীয়া তুমি নাড়াচ্ছিলে দু হাত।

শিকলপরা পায়েরা পীত রংয়ে জানান দিচ্ছিল হয়তবা,
তুমি হাসছিলে মেহেদীর কথা ভেবে

শব্দেরা বেফাস মৈথুনে রিক্ত হেমন্তের বিকেল কখন উষ্ণ হবে ?

এক উসখু খুসকো পুরুষ তোমার হাত ধরে চলে গেলে
কালো চোখের হ্রদ কিন্তু অন্য কথা বলছিল।

অবয়বে ? হয়তবা থেমে যাওয়া অন্ধকারে ??

বাসমতি

ফুটছে সেদ্ধ সব কিছু সাদা হচ্ছে। সাদারা আরো সাদা। দুধ সাদা।

আগুনে সেদ্ধ হতে যাওয়া বাসমতির বয়স তো কম হলো না, গত বর্ষায় মাত্র আঠারো পেরোলো।

ফুটছেই, গলন্ত আকরিকেরা ঘিরে রেখেছে চারপাশ। সেদ্ধ স্বাদ । সেদ্ধ ঘ্রান । বাসমতির বেড়ে উঠা।

বাড়ছেই,অযথা বাড়ছেই।

ডাইনিং টেবিল সাজানো থরে থরে। আমি, তুমি ও সে । এ বেলায় কোন আপনি নেই।

বসে আছি কখন বাসমতি আসবে। রাতের আগুনে আমরাই ফুটবো।

প্রিয় ঘোটকী

এক রিক্ত মানুষ শপিং মল চেপে ধরে ঘোটকীর বিন্যাসে অপ্রিয় ত্বকের ঘনত্বে মুগ্ধ হন,ম্যালানিনের হ্রাস-বৃদ্ধিতে কিছুই আসে যায় না।


ঘোটকীর পদযাত্রা ভালো লাগে। নালের খোলা পাত, খুরেরা দাগ রেখে যায়।


সানসিটির পাশ ঘেষে সবগুলি আস্তাবল পরিপূর্ন, সেখানে রোদেরা হিম হিম বরফ গলায়, শব্দ হয়। দৈন্যতায় রিক্ত মানুষ শপিং ছেড়ে কার পার্কিং এ থেমে থাকে।


কড়কড়ে নোটেরা চোখ টানে। নেশায় পাগল করে। খাস কামরা ঘোটকীর দখলে। রগরগে আবেশে ডিওডোরেন্ট ভেংগে যায়, পড়ে থাকে শেষ চুমুক।


তার খোলা নাল ডানা মেলে ছাতক কমলায়। প্রিয় হতে থাকে ম্যাটিনি শো। আজ বাড়ী যাওয়ার কথা ছিল।

রিক্ত মানুষ বেঁধে রাখে শপিং মল। শুন্য হয়ে যাওয়া সাজানো সব কিছু। ঘোটকীরা প্রিয় হতে থাকে।

মৃগয়ারা কেমন আছে?

জীবানুরা কথা বলে, দরজা খোলে
প্রতিটি দরজার পাশে একটা হতদরিদ্র কলিং বেল ছুঁয়ে
কথা বলিয়ে একজন নিরাপত্তা জীব
অনু লিফট ধরে গ্রাউন্ডেড হয়।

কথা ছিলো সাফারি পার্কে আবার দেখা হবে
তিনজন তিনভাগ হয়ে আধমরা শিকড় ধরে শুষে নেবে অটো রেইলের স্লিপার।
বিকেলের বৃষ্টিটা মাটি করে দিয়ে চোরাবালি
চোরা পায়ে স্কেটিং আইসল্যান্ড ধরে স্নোফল খেতে শুরু করে।
ল্যান্ডেড জীবানু উড়ে যেতে চায়
ডানা ভাংগে অবলীলায়
কথা বলে মৃত সাবেরের দুই দুয়ারে।

এক দরজা খোলে,
কথা বলে তিনজন
জীবানু কিংবা মানুষ
অনিয়মে কলিং বেল চেপে রাতের ঘুম কেড়ে নিয়ে
হিটার নিভে যেতে যেতে
সবাই চলে যায় প্রহসনের ট্রেইল ধরে,
গ্রাউন্ডেড হতে থাকে কিছু মানুষ আর কবিতা
এক হাতে তাদের শেষ চিঠি।
মৃগয়ারা কেমন আছে ?

মধুচন্দ্রিমা কবে হবে ?

মধুর বেলায় চাঁদের রাত। জোছনা এবেলায় অন্য বাড়িতে ঝি-গিরি করে। সাহেবের খেদমত; বিবির ফাই-ফরমায়েশ। বিকেলের ফ্লাইটে সাহেবের ফিরে আসারাতের নাইট ক্লাবে বেগমের অবিন্যস্ত লো কাট সব কিছু।
মধু’ র পিপাসায় সিগনাল লাইট নিভে আর জ্বলে। ভাবতেই গা শির শির করে। বসন খুলে যায়। চামড়া রং বদলায় নিভু নিভু আলোর প্রচ্ছায়ায়। রোজ রাতে করোটির ফাঁক গলে প্রক্ষেপন, মাদক মিশে যায় শিরায় শিরায়। শিউলি সকাল প্রশ্ন রেখে যায় মধুচন্দ্রিমা কবে হবে?

তারা আর একজন ময়ুরাক্ষী

বহুকাল ধরে আটকে গেছে একাকী এক বাদামী গাছ
একাকী ল্যাম্পপোস্ট
একাকী রোড ডিভাইডার ।

জড়ানো ডালে দেবদারূ গাছেরা
প্রসারনে রদবদল করে কিছু আলো-আঁধারি।
পাশের হাইওয়েতে দ্রুতগতির যান
উড়াতে থাকে ধুলো
জমে জমে বালি হয়
বালিরা বালিয়াড়ির কথা ভেবে ক্ষান্ত
রোড ডিভাইডার স্লিম হতে থাকে
হাইড্রোলিক প্রেসারে ক্রমশ কোমড়টা কমে আসে
ভারি হতে থাকে কিছু কিছু ল্যাম্পপোস্ট,
একটানা দেবদারু।
যতবার গতির ঝড় তোলে
চাকারা পিচঢালা সড়ক মাড়িয়ে যায়
ততবার বালিয়াড়ি ফুটপাতে
মহাসড়ক ধরে ঠায় দাড়িয়ে থাকে তারা আর একজন ময়ুরাক্ষী।

জানালা

জানালার বাইরে আজকাল খুব বেশি তাকানোর অবকাশ নেই। আকাশ ছোঁয়া প্লাটিনাম ফ্ল্যাট হাত পা ছড়িয়ে দিব্যি কেড়ে নিয়েছে আমার ঘুম, আমার বাতাস আমার প্রিয় নন্দিনী; পাশের দ্বিতল ভবনের ছাদ।

বৃষ্টি ঝরা দেখি না; বৃষ্টির ছাট একেবারে আমার বারান্দায়
কাঁচা রোদের কফিনে পেরেক বহু আগেই,
জানালার দু কপাট হাসফাস করে
তবুও শীতের কুয়াশা ভেজায় না আমার পড়ার টেবিল।
রাতে স্বপ্ন দেখেছি .. .. ..
স্বপ্নের প্রকোষ্টে সে এসেছিলো মন্ট্রিল থেকে
স্নোফল দেখে দেখে হয়রান
বরফ মানবী এঁকে রেখে গেছে জানালার কাছে,
তারপর থেকে দিন রাত আমার ছাদ বেয়ে স্নোফল হয়
বরফ কাটতে থাকে আর রাতের গভীরে হিটার।
স্যাতস্যাতে হতে থাকে মাইক্রো ওভেন আর জানালার মরচে ধরা বাহু বন্ধন,
দুলতে থাকে পর্দার ওপাশে ওর ফেলে যাওয়া অনেক কিছু।

লাল জামা

লাল জামা । হঠাৎ কড়া ব্রেক। কেঁপে উঠে টেম্পু । নড়ে উঠে আলগোছে অসমান ভাবনা।

যাত্রী উঠে, নামে । মাঝপথে । পথের মাঝে। লাল জামা নড়ে চড়ে বসে। মায়ের কোলে, তাকায় অজানা অনেক কিছু অনেক বিস্ময় !

রাজ্যের কত ভাবনায় চোখ মেলে তাকায়, খিস্তিতে খিস্তিতে তোলপাড়ে তাবৎ যাত্রীরা নেমে পড়ে।

সেও ...

বিহাইন্ড দ্য সিন


বামের ঝুল বারান্দায় উল্টেছে কচি পাতা, সবুজ প্রসাধনে সুতোর আটপৌরে। প্রতিবার মনে পড়েছে অনেকগুলো তাজা রক্ত টুপ করে পড়েছিল টিভি স্ক্রীন জুড়ে, কৃষ্ণচূড়ার ডালে প্যাকড মাটন আর ভূনা খিচুরিরা টগবগ করেছিল...

হঠাত দূর থেকে শব্দদূষন পেরিয়ে কাঠ ঠোকরারা নেচে উঠে পরম আনন্দে, থেমে থেমে এখানেই বৃষ্টি হয়ে যায় দু’বেলা। সোঁদা গন্ধে যখন হেঁটে গেছি দেবে যাওয়া দূর্বায় কাদাময় অলীক অপরাজিতা...

বহুদিন আগেই ছেড়েছি কবরস্থান যাওয়া আর আসা, ভাবছি কতটা ভয়ে আছে অতীন্দ্রিয়। ছুড়ির আগায় ঘুরেছি নিয়ে চকোলেট, পরতে পরতে ছুটেছি ছুটন্ত মাসটাং হয়ে ব্যাকটেরিয়া পণ্যে ...

নৃত্যের তালে তালে আছে তোমার মন দুলেছে বেনীদুটো অসমে একাকী জোছনা নামের দুপুর শেষে, অথচ মধ্যাহ্ন ঘনাতে টুং টাং হতে থাকে ওয়ার্ডরোবে, সিল্কি গাউন জুড়ে। কেবিনেটে নেমেছে শতাব্দীর তেলাপোকা...

খুব কষ্ট করে কষ্টগুলো দহন করে নিয়েছি । স্লাইস এর পর স্লাইস করে সেরে নিচ্ছি সকালের নাস্তা। মোড়ের পান দোকান হতে ছড়িয়ে পড়া ধোঁয়ার কুন্ডলী ক্রমশ বড় হতে হতে আমার চারপায়া অবধি, ছুতে ছুতে ছাদ ছোয় রিং গুলো। ঐক্যের নমুনায় একরঙ বৃত্তে লেপ্টে থাকে পঞ্চতন্ত্র...

কাউকে বলা হয়নি, মর্নিং এডিশনে ব্রেকিং নিউজ। আগরবাতির ধোঁয়ায় ক্রমান্বয়ে শানিত হওয়া তরবারি মূর্হুতেই দিক হারিয়েছে অদূরেই । এক্সপায়ার্ড হয়ে গেছে নৃতত্ত্ব আর প্রকরন। তরতর করে ঘামতেই বিহাইন্ড দ্য সিন এসে পড়ে এবং সুনসান নিরবতা....

Posted by Picasa

Monday, March 24, 2008

উর্বশী হেটে যায়

অযথা চর্বিত হওয়া কিছু অবৈতনিক হাওয়া উড়িয়ে নেয়
ঝুল বারান্দা,
উর্বশী মিহি মসলিনে একবার তাকায়
নিশ্বাস ছোঁয়ায়

মেটাফোর মানস অযথা বিলম্বিত করেছে
তবুও অর্কিড ঝোলানো টবেরা পাতাহরন করেশেষ পলকে

এই সেই সেই নয়
তবুও
উর্বশীর খোলা চুলে তিন হাজার আরব্য উপন্যাস জেগে উঠে
বারবার গীতি কাব্য
বারবার চিত্র নাট্যসংলাপবিহিন দুহাজার নয়শত নিরানব্বই

হাওয়ারা হাওয়াই চপ্পল মসলিন সুগন্ধে মৌ মৌ বিরহে
হেঁটে যায়
হেঁটে হেঁটে
এক কদম,
হাজারটা মাইল পার করে
নিশ্বাস ঘন ঘন হয়ে আসে
গণ জাগরনে।

চর্বনে চর্বিত হতে হতে
এক মুঠো মেঘ ধেয়ে আসবে
বলে পৃথিবীর মেটাফোর ভাংতে ভাংতে ফোর ফোড় তারিখ রেখায় বিলীন

উর্বশী হেটে যাওয়া ঝুল বারান্দা সামনে রেখে
তাকায় শেষ বার

এক রাত আজো বাকী আছে !

ফোল্ডেড চশমা

তিন নম্বর কেবিনের দরজা খুলতেই নেমে আসে এক পাশ
সিল্কি আঁচল মাটি ছোঁয়
মাটির পাশে ফোল্ডেড

এক চৌবাচ্চার আধার
সুতোরা খাশ কামরায় আবদ্ধ আলোরা প্রতিসরনে ধাক্কা খেতে খেতে
লবনাক্ত হ্রদের গভীরে অতসী কাচ হয়ে
এক ফালি শৈবাল নীলাভ আগুন ধরায়

ফোল্ডেড চশমাটা মাইনাস ২.০০ ছিলো,
মনিটরের হৃদয় ঘেষে বাম দিকে সরে আসে একটি সনেট পংক্তি যতটা পানি শুষে
মারিয়ানা ট্রেঞ্চ ততটা উঠে আসে হিমালয়ের কাছে ,

নিঝুম দ্বীপের কোল ঘেষে
বালিকারা খেলা করে
চশমার আবরনে স্নিগ্ধ হয়
বালুময় বালুচরে

ফোল্ডেড চশমাটা আরো ফোল্ডেড হয়
একবিংশ শতাব্দী
হয় যাযাবর পদাবলী,
বারবিকিউ হতে যাওয়া রোস্টেড চিকেন তাবুতে তাবুতে আপ্লুত হওয়ায়...

তুমিও ঠিক আমার মতোন সমানুপাতিক

তুমিও ঠিক আমার মতোন
কিঙবা আমি তোমার

একটা সমান চিহ্ন
একটা সমানুপাতিক
একটা দীর্ঘকায় সিনজি লাইন


সি থেকে জি পর্যন্ত কতগুলো পাইপ
লাইন টানা সাংগু অবধি
উপসাগরীয় হৃদয় ভেদ করে
বুদ বুদ পানির ফোয়ারায় টর্নেডো

হিম হিম বাহু নামতে থাকে সলজ্জ করিডোর হয়ে
উত্তপ্ত হতে থাকে কড়াই
তপ্ততায় আকরিক সোজা হতে থাকে
একটা সরল রেখায়
সমানুপাতিক তুমিও ঠিক আমার মতোন

শব দ বোধ করে অর্থবান হতে থাকো
একটি দীর্ঘকায় সিলিন্ডারে ...

একটি পাখি ডানা ঝাপটালো..

তাহার ডানাগুলো ক্রমশ ঝাপটালো
টান টান অনুভবে
ঐন্দ্রিয় স্বপনে মোলায়েম হতেছে যখন
সমভাবে তুলোরা উড়েছে দক্ষিণায়নে
-সে একটি পাখি হবে বলে অনাগত ভাষ্যে বলে গেলো বিকেলের মলিন ধুলোর কথা...

যতবার জানতে গেছি....

উত্তর পাই নি যতবার ভাবতে গেছি

ধ্রুপদী রংয়েরা কেন
তারুন্যে হারায় মিশমিশে কালো রং,

দেখি পৃথিবীর অশ্বরা দৌড়ায়
অশ্ব ডিম্বের বেদনায় !!!!

যতবার জানতে গেছি
প্রতিবার কেন মধ্যাহ্নের তীব্রতায়
আলোরা হারায় সাদা ভালোবাসা ততবার
গোলাপেরা হারায় নির্যাস,

মৌমাছি ছুটে বেড়ায় পাতায় পাতায়
ফুলেরা হারায় পরাগ রেনু
নিঃস্বতায় !!

যতবার অনুভবে ছুঁ'তে গেছি
প্রতিবার কোন উত্তর পাইনি

পৃথিবীর গোলাপেরা আজো কি ফোটে
পৃথিবীর রংয়েরা আজো কি খেলা করে

Saturday, March 22, 2008

Sundarban : Largest Halophytic Mangrove Forest

The Sundarbans (Bengali: সুন্দরবন), claimed to be the largest single block of tidal halophytic mangrove forest in the world[1], lies at the mouth of the Ganges and is spread across areas of Bangladesh and West Bengal, India, forming the seaward fringe of the delta. The forest covers 10,000 sqkm of which about 6,000 are in Bangladesh[2]. It got inscripted as a UNESCO world heritage site in 1997; but while the Bangladeshi and Indian portions constitute the same continuous ecotope, these are separately listed in the UNESCO world heritage list as the Sundarbans and Sundarbans National Park respectively. The Sundarbans is intersected by a complex network of tidal waterways, mudflats and small islands of salt-tolerant mangrove forests. The area is known for the eponymous Royal Bengal Tiger, as well as numerous fauna including species of birds, spotted deer, crocodiles and snakes. It is estimated that there are now 500 Bengal tigers and about 30,000 spotted deer in the area. Sundarbans was designated a Ramsar site on May 21, 1992
Please visit following link for more details....
Please Vote Sundarban....

Cox's Bazar: Longest Sea Beach in the world.

Cox's Bazar (Bengali: কক্স বাজার Kôksho Bajar or Kôks Bazar) is a town, a fishing port and district headquarter in Bangladesh. It is known for its wide sandy beach which is claimed to be the world's longest natural sandy sea beach (120 km) including mud flats. It is located 150 km south of Chittagong. Cox’s Bazar is also known by the name “Panowa”, the literal translation of which means “yellow flower”. Its other old name was “Palongkee”. The modern Cox's Bazar derives its name from Captain Cox (died 1798), an army officer serving in British India.
Although Cox's Bazar is one of the most visited tourist destination in Bangladesh, it is yet to become a major international tourist destination allegedly due to conservative attitude of local people.
For more Details Please Visit following link...
Please Vote Cox's Bazar....

Thursday, March 20, 2008





সবুজ অরণ্য জড়িয়ে কমনীয়
হতেছে ফেনিল সমুদ্র যেখানে...আকাশটা সেখানে ছুয়েঁছে তট

.....ঘনো হয়ে যাওয়া ধূসর সন্ধ্যায় দূর এক মেঘবালিকার আজ মন খারাপ

Wednesday, March 19, 2008

মননশীলতার মৃত্যু এবং...

মননশীলতার মর্মান্তিক মৃত্যু !

স্পটেই নিশ্চিত....

থানা - পুলিশ।

মর্গ, কাটাছেড়া, সেলাইয়ের পর সেলাই....

তারপর জানাজা।

কোথাও অনুরাগীদের গায়েবী,
কোথাও সশরীরে ক্রন্দন।

এদিকে তদন্ত কমিটি বসে নেই

....এক সদস্য বিশিষ্ট সাংঘাতিক করিৎকর্মা তিনি।
জেরার পর জেরা
লেখার পর লেখা
রির্পোট - পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা।

সব শেষে সিদ্বান্ত

”দলাদলি আর ভাগবাটোয়ারা কারনে প্রতিপক্ষের আঘাতে অকাল মৃত্যু।”


পত্রিকার হেড লাইন এলো

”জনতার উল্লাস, ঘরে ঘরে মিষ্টি বিতরন.........

মরে গিয়েই ভালো হলো,
আমজনতা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে।”

ঘুমন্ত প্রিয় মানবী

ঘুম
বন্ধ চোখ
মাঝে মাঝে ঠোটের নড়াচড়া
মৃদু উত্তাপে নিঃশ্বাস।

মৃদু ছোঁয়ায়
কেঁপে কেঁপে উঠে
শান্ত স্নিগ্ধতায় ঘুমন্ত প্রিয় মানবী।

এক হাত বাড়ায়,
বাড়ানো হাতে
অবারিত ভালোবাসা।

ঘুমের গভীরে
কাছে আসা
দূরত্ববিহীন।

রেশমী চুড়ির শব্দ
কাঁচের ঠুকাঠুকি,
শব্দে শব্দে আমার ভালো লাগা
পিয়ানোতে সুর তোলা।

ঘুমে ঘুমে বালিশ বদল
বালিশেরা কথা বলে
বদলে ফেলে অনুভুতি।

রাতের গভীরতা যত বাড়ে
বাড়ে কম্পন,
মৌনতায় বাড়ে
বাড়ে স্পন্দন
প্রিয় মানবীর ঘুম
ঘরময় দ্য ভিঞ্চি
মায়াবী আলো ছড়ায়
রাবিন্দ্রীক তরংগে।

মোহময় স্বপ্নেরা
আবিষ্ট করে রাখে
সব কিছু।

Tuesday, March 18, 2008

ঘুম ভাংগা শৈশব ।

একটা টেবিল চামচ
স্টেইনলেস ষ্টীলের তৈরী,

পড়ে গেলো মাটিতে;

ঝন ঝন করে শব্দ।
গিন্নীর হাত ধরে সিংক
তারপর আবার টেবিল।

মেয়েটার ঘুম ভাংলো,
সকালের আলস্যে কান্না জড়ায়।

এর পর প্রস্তুতি
ব্রেকফাস্ট
স্কুল ড্রেসড !!

একটি টেবিল চামচ আরএকটি স্কুলের ঘন্টা।

কোনটা হঠাৎ
কোনটা রুটিন বাঁধা
আজো জানি না।

একটি মোটর যান ও সে

কালো পাহাড় ছুঁই ছুঁই এক রহস্যে
আগুনে বৈভব
একটা মোটর যান ও সে আস্বাদন করে দূর্গের চার দেয়াল ঘিরে পর্যটন নগরী।

সে আসে মাতাল হয়ে বারটেন্ডারের হাত থেকে এক পেগ
কোনার টেবিল শোয়ানো অনুকম্পার হাতছানি
বৈধব্য পেতে থাকে দেয়ালে টাংগানো তার ছবি

মাধবীলতার পেইন্টিং কুচকানো জলছাপ এমবোস্‌ড

নোনা পানির রসায়নে পাহাড়িকা কার্বন এক হয়ে পেন্সিল হয়
সৈকত সীমানায় পাথুরে লেগুন কোদালেরা হাবসী হতে থাকে

ছিন্ন মস্তকে বারটেন্ডার।

সকালের মগ্নতার ক্ষনে সে তার ইচছা খেতে শুরু করে
পান করে এক পেগ লজ্জাআর নিজেকে নিজের ভুষনতার
পর ঠেলে দেয় কালো লেগুনে ।

এ শব্দেরা আমার ।

শব্দেরা কবিতা আঁকে জীবন্ত তো বটেই ! হাই টেক না হোকপ্রিয় মানবীর কথা তো বলে।
শব্দেরা ফুটপাতে হাটে বস্তিতে খেলা করে, শৈশবে মিশে থাকেসময়ের দিনলিপি সাজায়।
শব্দেরা বুকশেল্ফ ছেড়ে কৈশোরে দুরন্তপনায় বেকারত্বের তীব্রতায় জ্বালায়।

শব্দেরা পোড়ায় আগুনে ঝর্না কলমের ছোটাছুটি উপচে পড়ে খাতায় খাতায়।
শব্দেরা আমাকে ডাকে তোমাকে ডাকে মায়ের হাত ধরে পিতৃত্বের বোধগম্যতায় স্মৃতির খসরা পান্ডুলিপি।

শব্দেরা কবিতা না হোক,
না হোক রুপ বদলের প্রসাধনী
র্দূবোধ্যতার হাহাকারে প্রতারনার ভাব বিনিময়।

শব্দেরা কিছু না হোক তবুও জীবনের কথা বলে।

কবিতায় না হোক ; গদ্যে হোক !!
ছন্দে না হোক
প্রবন্ধে হোক।
তবু ও এ শব্দ আমার !

ডাইনিং স্পেসটা বাড়তে থাকে

রয়ে সয়ে কিছু পাথরএকটু থেমে গিয়ে কাঁচের শব্দে
দুজোড়া প্লেট দুহাতে নেমে আসে।

প্লেটেরা ক্রমাগত হাত হয়ে নামতে থাকে হৃদপিন্ডে
জাপটে ধরে পাজর মেরুদন্ডীয় ঈশান কোনে।

ডাইনিং স্পেসটা বাড়তে থাকে, বাড়াটাই সমীচিন হয়তবা। রংগিন ঝালোরে রুপসী ছাদ এঁকে বেঁকে লহড়ায়
আলোর ঝলকানি কাটা চামচের মতো করে
চোখে কর্নিয়া ভেদ করে।

কিছু পাথর হাঁটা পথে দুজোড়া প্লেট হয়ে রান না

রাধতে

রাধ তে

অবসন্নবিকেল হয়ে
একাকী বাসর যন্ত্রনা !

শীর্নকায় পাজরের অলি গলিতে সরু সরু পথ ছেড়ে ডাইনিং স্পেস একাধার হতে রাত বাড়ে
বাড়ে
ইন্দ্রিয়তা
নেশাহুত যুবক অর্হনিশ ঢুলতে থাকা বোলচাল
আর অভুক্ত তিনটি শিশু সদর দরজায় কড়া সিকিউরিটি

উচ্ছিষ্টতায় কখন ডাস্টবিন পূর্ন হবে ..............

ব্রাউন কালার ওয়্যাক্স

ব্রাউন কালারের চকমকি ওয়্যাক্স গুলো ঠোটে পড়তেই
তোমার ঠোট অনেক আলো আঁধারি কথা বলে দিলো।

শান্ত হতে থাকো তুমি। অশান্ত ওয়্যাক্স ছুঁতে থাকো ।

বাম পাজরের কোনায় গেঁথে থাকে বুলেট,
বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট তো আমি কখনই দেখি নি তবুও ওয়্যাক্স অশান্ত হতে থাকে।

কলাপাতা রংয়ের একটা আঁচল নামতেই থাকে
গোড়ালি অবধি ।

ব্রাউন কালার ওয়্যাক্স সিক্ততায় নিরব হতে থাকো তুমি। গ্রানাইট সন্ধ্যা নামতেই থাকে।


বাম চোখে কিছু একটা পড়েছে। বেশ খচ চখ করছে বেশ কয়েক রাত। সবুজাভ আচঁল অস্থিরতায় অস্বাভাবিক নীল রং গাঢ় হতেই থাকে

যতটা পৌছায় ।

কলাপাতা সবুজ বিষাক্ততায় স্নিগ্ধ হতে থাকো তুমি,
প্লাটিনাম সৌকর্য্যে রাত যৌবন পেতে থাকে।

বাম হাত অবশ হয়ে পড়েছে বলে অবলীলায় তোমাকে ছুঁতে পারিনা বেশ কয়েক রাত। নীলাভ স্নিগ্ধতায়।

ব্রাউন কালার ওয়্যাক্স খসে পড়তেই থাকে।

বেবী সিটার

বেশ কড়কড়ে নোটের মতো করে প্রথম যেদিন ওর হাতে দিয়ে বল্লাম,

নাও এবার বেবীটা ওকে দাও
আর তুমি আমার কাছে।

শুধু একটা চুমুতেই বলেছিলো
কাল না বাসায় পার্টি রেখেছি,
কাউকেই বলতে ভুলো নাআর মেনুতে

মাতাল করা সব....

পার্টিতে আমি বেবী সিটারের কাছে
আর সে সালসাতে।

রাতের যৌবনে আমার সেই এক চুমু
বাকিটা তো রেশনে বিলানো,

সকাল এলোমেলো সুপ্রভাত
সিল্কি গাউনে রুপার অবিন্যস্ত হাতে

আমার ডান বাহু অপরিচিত চুম্বন আঁকা

পরিচিত বেবী সিটারের পরিচিত ব্র্যান্ডের পারফিউম

-একটা মুগ্ধতায় তরতাজা কাগজী নোট হাসছেই

বাজার ভারসাম্য, ভারসাম্যহীনতায়

সাতরং
এক একটি বৃত্ত
লোগো কিংবা ব্র্যান্ড নেইম।

কোথাও পসরা
অধুনান্তিক বানিজ্যের
কোথাও অলিগোপলি
কিংবা
কার্টেল হতে দোষ কি?

মাঝে মাঝে ডুয়োপলিও হয়,

র্কাভটা হঠাৎ ব্রেকডাউন
প্রাইসিং ভারসাম্যহীনতায়।

তবুও আমি ক্রেতা অনেকটা সন্তুষ্ট !

একজন চিত্রকর ছবি আঁকেন...



...........একটা সাইক্লোন জড়িয়ে রাত পার করি
এর পর ম্লান বর্ষপঞ্জিকায় স্বপ্নের যবনিকা............


....নোনা জল ছাড়া সবকিছু আহ্নিক গতি ধরে
ঘুমন্ত হয়েছে জেনে

প্রসব যন্ত্রনায় ভুগেছে অলস মধ্যাহ্ন
অথচ জেগে উঠার সমূহ সম্ভাবনা থাকলেই

নিজেকে অভয় দিতে থাকি


পৃথিবীর নিম্নচাপে কোন ব্যাঘাত ঘটেনি ....



....এখনও আওয়াজ শুনতে পাই ক্রন্দনের

যতবার ছবি আঁকা দেখি


ইজেলে ; আর সব শেষে প্রচ্ছদে

আমি তাকে,

খসরা ড্রয়িংবুক হতে নেমে পড়তে দেখি


অন্যত্র আমার মনে পড়ে যায় তার জন্ডিস চোখ ;
নিস্তেজ আকুতি-



এই শহরটা বেশ প্রাকৃতিক,
তিনি বলে গেলে

লাজবন্তী বাইকগুলো সাঁই করে চলে যায়
উকিঁ দেয়া মীনেরা উঁকি দিতে থাকে
ভেসে থাকে কচুরি পানা-

কলমী লতায় জড়িয়ে সবুজাভ সংশ্লেষন........

-দূর হতে কল্পিত হতে থাকি
লাল চায়ে

চাইলেই যেন
একদিন সকাল হতেই কুয়াশাচ্ছন্ন পাখিরা আরও পাখা মেলে



একজন চিত্রকর নেমে আসেন
দূর হাওরের সীমানায়



সামনে রাখা পানিটা বাষ্পীয় হচেছ জেনে
ঘাম ফেলছি ; ফেরি করা ত্বকে


মসৃন হয়েছে কামুক পশম
তবুও সেই ছাই রং কবতুরী

আমার বারান্দায়


-বাক বাকুম ! -বাক বাকুম !


আমি ভাষা বুঝি না ওর মতো


অথচ সকাল হলেই পর্দা সরাই;

ওর জানালা দেখি

অপেক্ষা করি আরো আরো ঘাম আসুক

আমি প্রায় ঢোঁক গিলে ফেলি............



সামনে কাটা রাস্তাটা আগে কতটা কাটা ছিলো
কিংবা
এভাবে বল্লে কেমন হয়-

কাটা রাস্তা নয় রাস্তা বরঙ কেটে ফেলা হল.........

অনেক রসায়ন এবং ভুগোল
পড়ে থাকা মৃন্ময়ে যন্ত্ররা গেঁথে দিচ্ছে শাবল

যতবার
ততবার

বৃষ্টি হচ্ছে নগর ভবনে আর

শিশুপার্ক ঘেষে ফুটপাতে
আমি তো ভাংছি ;
ক্যালরির এককে চিনে বাদাম


-মাছরাঙ্গা

Saturday, March 15, 2008


এই পথ কতদূর যাবে
কে জানে
লাগোয়া বনানীর মায়াজালে
কে দেখেছে
কোথায় থামতেছে পথ চলা

নোঙ্গর মেলেছে


দূর কোন এক অবসন্নতায়
একাকী
নোঙ্গর মেলেছে
মেঘের আনাগোনায়
ঘরে ফিরে আসে ধূসর ঢেউ
তবু ও
অধীর অপেক্ষায়
কোন এক সবুজ গাঁয়ে
নিশ্চুপ তরুনী