উত্তাপের দুপুর শেষে শব্দেরা শান্ত বিকেলের কাছে এসে
জোট বেধে জড়ো হয় নিজেরা
কবিতা হয়ে বেশভূষা পাল্টায়
যখনি মেঘেরা কাশফুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়।
কবিতারা ভালোবেসে নিজেদের হারায়
ক্ষীনকায় স্রোতের আলিংগনে কাত হওয়া গাছের ছায়ায়
পথিকের মন জুড়ায়।
কবিতারা জড়ো হয়
কপোত-কপোতিরা ছুটে ছুটে ডানা উড়ায়
ভেজা ভেজা পরশে নিশ্চল আকাশে ।
কবিতারা তপ্ত বৈশাখে মরমে মরমে
নির্বাক ভাষা জড়ো করে
একাকী এক মেষ বালকের সুরে সুরে।
কবিতারা পথ চলে শব্দে শব্দে
না বলা কথা
না বলা ছন্দে
শিল্পীরা তুলি ধরে
ছবি আকেঁন জীবনানন্দে।
কবিতারা মেহগনি উদ্যানে দুপুরের রোদ পানে
জোছনার আলো আনে
স্নিগ্ধতায় জড়ানো এক মানবীর টানে।
কবিতারা দূরতম কোন এক দ্বীপে সৈকতের জল ছুঁয়ে যায়
খেলা করা এক কিশোরির রুপালী কৈশোরে
ভেজা পায়ের ছাপে ছাপে।
কবিতারা র্নিঘুম রাতে
মায়ের বুক ঘেষে কেঁদে উঠা
শিশুর কাছে স্নেহের পরশে
ঘুম ঘুম ভালোবাসা মেশে।
কবিতারা শব্দের আনাচে কানাচে
না দেখা শব্দে
অনেক কষ্ট জড়ো করে
ফিরে ফিরে আসে
হৃদয়ের কাছে।
কবিতারা শব্দের ভালোবাসায়
জড়ো হওয়া শান্তিতে
গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুর শেষে
এক রাশ চাওয়া-অচাওয়ার প্রাপ্তিতে।
Sunday, March 30, 2008
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment