বহু দূর হতে
এক অন্যমনস্ক পথিক
স্বপ্ন বুনেছিল দূর বালিয়াড়ি সীমার শেষ প্রান্তজুড়ে
ছড়ানো হতেছে অজানা বসন্ত।
অস্তযাত্রায় সেই বসন্তের পরিধি পেরিয়ে
দাহ্য জীবন ক্রমশ আকরিক হয়ে এলে
শ্রাবন মেঘের সন্ধ্যা ঘনায়
অংকনে অংকনে
হলুদ প্লাবনে ধ্বসে পড়া পাহাড়ী বসতির
নিম্ন সীমায় মাংসল হতেছে
শতাব্দীর জমে থাকা কাঠিন্য ;
তবুও ক্ষয় হতে থাকে নাভীমূলে
তীব্রতর
এক শিরোরেখা
মৃদু হেসে উঠে
আর
অবিমিশ্র রসায়নে গভীরতর সেই ক্ষত
চুঁয়ে চুঁয়ে
পড়ে নিস্তব্ধ করিডোর
শেষে
নিঃসঙ্গ হয়ে পড়া সেই অশীতিপর
যাহার উন্নাসিকতায়
ধোঁয়া ধোঁয়া
বৃষ্টি ফোঁটায়
একদিন উপ-দ্বীপ ঘেঁষে সলিল হয়েছে
বিমর্ষ তৈল চিত্র
অথচ মধুরতম আকাঙ্খায় একাকী
এক জলাচর
খুঁজে ফেরে
রুপালী আলোর ছটা
যেখানে অমসৃন ত্বকে
ঘর্ষনে নেমেছিল
বৃষ্টিহীন তৃণভুমি থেমে থেমে
অপরাজিতা আসবে বলে,
কেউ কী ভেবেছিল
যাবতীয় প্রসব বেদনার রেসিপি
জেনে গেছে গাংচিল ;
ঠোঁটে ঠোঁটে ; চয়নে
পথের গহীনে আরো পথ রয়ে গেছে অচলা
উদ্ভ্রান্ত কলাম জুড়ে
চারপাতা
শুণ্য ; শুধুই শুণ্য হলুদাভ সব রঙ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
2 comments:
darun upoma...
pore onek valo laglo
sattyi osadharan ..kabi ke awnek awnek shukriya..
Post a Comment