Friday, March 28, 2008

কবিতার সাথে বসবাস

ঘূর্ণাক্ষরে বোঝা যায়নি গতকাল রাতেও
এরাতে আমি ঘুমাবো না।

ঘুম ঘুমু চোখে আমি কবিতার ট্র্যাক ধরে তাজিংডং খুঁজে বেড়াব ।
তুমি বিনদাস ঘুমিয়ে। নরম নরম ঘুমে রেশম পোকারা ঘুড়ে বেড়াবে স্লিপলেস সবকিছু।

এক পাল উঁই পোকা কেটে নিতে থাকবে আমার রাতের ঘুম। তিনশত আটান্নটা বই। এগারটি উইলো। আর কিছুই না, সকাল হতেই আমি নিদ্রাবিলাসী হবো।
চা পাতায় কফি মেশাবো আর ছেড়া কবিতা জড়ো করে সের দরে নিয়ে যাবো ফেরিওয়ালার কাছে।
কমলিকা আমার মেসঘরে আসতেই দুপুরের ব্যবস্থা তো হলো। সন্ধ্যা কাছে আসতেই লুকালাম মুখ।
শাড়ীটার আঁচল গুটিয়ে সানসেটে শব্দজট হল।

গতকাল শেষ শপিংয়ে সড়কজটে আমি তিন ঘন্টা ঠায় ছিলাম নিউ মার্কেট মোড়ে। কবিতা, ওকে ভাঁজছিলাম পুরানো তেলে।
তারপরও ভাবিনি আজ সারারাত আমি ঘুমের সাথে কানামাছি খেলবো।
কবিতার সাথে পাশা খেলা।
রাত বারটার ঘন্টা বাজে নি বলে
গীর্জার কথা ভাবতেই পারছিনা।
ঘন্টাবাদকেরা আজ হয়তবা ছুটিতে কিংবা ঘুমে নিমগ্ন
কিংবা
নিস্ফলা কবিতা পাঠের আসরে মাতোয়ারা রাতের যৌবন উলটে পালটে দেখছে
আর বলছে
আহ ! কি মধুর তুমি কবিতা ?
যতটা পান করি তার
চেয়ে বেশি জিভে লেগে থাকো ।
ওর সাথে গতকাল বিকেলেই দেখা। গতকাল বলতেই অনেকগুলি গত।
বেশ জমকালো রংয়ে একটা সিফন জড়িয়ে আলতো ছুঁয়েছিল।
লেপ্টেছিলো
অবয়বে গভীর রাতের কবিতার মতো।
স্বচ্ছ হতে স্বচ্ছতর।
প্রতিটি ছত্রে সে ছিলো। কবিতা ছিলো।
বছর দশেক পরে গতকাল ছিলো।
র্নিলিপ্ত ছিলে বহুদিন।
একজন অনামিকার হাত ধরে চৌরাস্তর মোড়ে দু জন পুরুষ,
হাতে হাতে মুক্তির আশ্বাস পেয়ে তৃতীয় পুরুষ সংগে নিলে।
ত্রিমাত্রিক হয়ে গেলে ।
তোমার অনামিকায় যে আংটিটা ছিলো বলেছিলে এটা ওর দেয়া।
এক কবির দেওয়া।
সেই ও খুঁজে পেলাম না।
তবুও আজ দুপুরে কবিতা পেলাম ত্রিমাত্রিক ঢংয়ে।
মিতার চিঠি পেলাম বহুদিন পরে। চিঠিটাই। শুধু।

একটা কবিতা পাঠালাম ফেরত খামে। কবিতাই শুধু। পাল্টা চিঠি পাই নি। মিতাকে ও না।
আরো একটা কবিতা দিন গুনছে আরো একটা ফেরত খামের।
তিনি আসবেন বলেছিলেন।
তিনি আসলে সন্ধ্যা নামবে,
সন্ধ্যা নামতেই বাদকদল রাস্তয় নামবে। সড়ক বাতি উজ্জল হবে ।
ঝরানো মেদ আর টানটান করে বাঁধা সমস্ত শরীর নিয়ে
তিনি আসবেন বলেই মুক্তির স্বাদ পেতে থাকে তিন রং মলাট
কবিতার বই হাতে কফির আড্ডা ।

এবার ভুল নয়, তিনি এসে চলে গেলেন, হাতে দিয়ে গেলেন এক পাতার নামহীন কবিতা।

No comments: