Friday, August 1, 2008

হলুদ প্লাবনে ধ্বসে পড়া ব্সতি

বহু দূর হতে
এক অন্যমনস্ক পথিক
স্বপ্ন বুনেছিল দূর বালিয়াড়ি সীমার শেষ প্রান্তজুড়ে
ছড়ানো হতেছে অজানা বসন্ত।

অস্তযাত্রায় সেই বসন্তের পরিধি পেরিয়ে
দাহ্য জীবন ক্রমশ আকরিক হয়ে এলে
শ্রাবন মেঘের সন্ধ্যা ঘনায়
অংকনে অংকনে

হলুদ প্লাবনে ধ্বসে পড়া পাহাড়ী বসতির
নিম্ন সীমায় মাংসল হতেছে
শতাব্দীর জমে থাকা কাঠিন্য ;

তবুও ক্ষয় হতে থাকে নাভীমূলে
তীব্রতর
এক শিরোরেখা

মৃদু হেসে উঠে

আর
অবিমিশ্র রসায়নে গভীরতর সেই ক্ষত
চুঁয়ে চুঁয়ে
পড়ে নিস্তব্ধ করিডোর

শেষে

নিঃসঙ্গ হয়ে পড়া সেই অশীতিপর

যাহার উন্নাসিকতায়
ধোঁয়া ধোঁয়া
বৃষ্টি ফোঁটায়
একদিন উপ-দ্বীপ ঘেঁষে সলিল হয়েছে
বিমর্ষ তৈল চিত্র

অথচ মধুরতম আকাঙ্খায় একাকী
এক জলাচর
খুঁজে ফেরে
রুপালী আলোর ছটা
যেখানে অমসৃন ত্বকে
ঘর্ষনে নেমেছিল
বৃষ্টিহীন তৃণভুমি থেমে থেমে

অপরাজিতা আসবে বলে,

কেউ কী ভেবেছিল
যাবতীয় প্রসব বেদনার রেসিপি
জেনে গেছে গাংচিল ;

ঠোঁটে ঠোঁটে ; চয়নে

পথের গহীনে আরো পথ রয়ে গেছে অচলা
উদ্ভ্রান্ত কলাম জুড়ে
চারপাতা

শুণ্য ; শুধুই শুণ্য হলুদাভ সব রঙ

একটি সুবিন্যস্ত চরের আকাঙ্খা

পলিমাটির সৌগন্ধে
হরদম সবুজ ট্রে-র উপর দিয়ে বয়ে যায়
ভাঙ্গনের বিশাল থাবা

কদমাক্ততায় স্বল্পবসনার ছায়া পড়ে
স্লথ : অতি স্লথ স্বপ্নের কাছে
মানুষের এক হাটুঁ জল
অথচ কামান্ধ রাতের পসরায় বানোয়াট হতেছে
চায়ের কাপ; ঝড়ের বাতায়নে ক্রমশ নিম্নমুখী
হয়ে পড়া ইথারে
শীৎকার শুনি ভু-কম্পনের

ক্ষীনকায় লেজ নাড়ে সড়কপথে জ্বলে উঠে
নীল নীল জলীয় সব কিছুর
অরুণাভে বাদামী পাখির পালক
খসে পড়ে

তবুও জেগে উঠে সুবিন্যস্ত চর পতিত ঝোপের আড়ালে-

অস্তাচল

কষ্টেরা একাকী যন্ত্রনায় বসে আছে প্রশস্থ রেস্তোরায়-

কিয়দংশ ইউক্লিডিয় জ্যামিতি হতে
হতে প্রমত্ত নদীর বাঁকে
বার বার আছড়ে পড়তেছে
লো ভোল্টেজে

থেমে যায় তরঙ্গ
নোনা হতে থাকে ত্বকের কার্নিশে ; তথাপি

প্রাচীর সমান উষ্ণতায় উড়ে যায়
শকুনের ডানা প্রতিটি বক্ররেখায়
একটি ছিন্ন-ভিন্ন দেহজ গড় ;
উল্টেছে কফির মগ

-দূর পশ্চিমে এখনও রক্ত লাল
হয়ে থাকে অস্তাচল
ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে নিভেছে
ক্ষীন আলো