আপনি নেই আজকাল । ভাবতেই গা শির শির করে উঠে ; ঘামতে থাকি অনবরত । ঘেমে ঘেমে উল্টে দিতে থাকি নিজের ভেতরকার লজিক আর এন্টিলজিক।
আপনি নেই বলে আসকারা পেয়ে যায় পদ্যগুলো । কবিতা হয়ে উঠে না অনেকাংশ জুড়ে, তবুও মন মাতানো টিংটং হতে থাকে নিউরনে । গদ্যগুলো বেসামাল সিফন শাড়ীর আঁচলে হাবুডুবু খেতে খেতে সংশ্লেষিত হয়ে পড়ে শেষ প্রহরে । অথচ মেহগনি কপাটে লাল রংয়ের একটা আস-রন দেয়ার কথা বলতেই একদিন ও পাশের জানালা থেকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন রাশভারী পারফিউম।
আপনি নেই বলে কবিতার বাড়ীতে ঢু মারা হয় না ; কবিতাদের বেলকনিতে জম্পেস আড্ডাও জমে উঠে না। গ্রামোফোনে রবীন্দ্রনাথ বেঁেজ উঠেন না; হাস্নাহেনা সুরভিত হয়ে উঠে না । জীবনানন্দের কথায় ভাব বাচ্য খুঁজে ফিরি না, রাত গভীর হতেই নারকেল ডাল নড়া ততটা ভৌতিক হয়ে উঠে না । কেউ লেপ্টে আসে না বুকের ভেতর।
আপনি নেই বলে অযথা বুকশেল্ফ অগোছালো হয়ে উঠে না; বালিশের নিচে কিংবা খাটের তলায় আনমনে পড়ে থাকে না অনুবাদগুলো। কোন এক পাতায় ড্রাইড গোলাপ পাপড়ির দেখা মেলে না ; শুষ্কতায় অনুভবে কোন রং থাকে না।
আপনিহীন পর্দায় কুচকানো দাগের দেখা পেতেই উধাও হয়ে যায় না প্রিয় টিকটিক শব্দ। একটা ঘড়ি ছিলো টাঙ্গানো । সেটাও আগের মতো সাড়া দেয়না বারান্দায় একাকী পায়চারী করা আমার সাথে যেমনট ওর দূরত্ব আপনার সাথে ছিলো ততটা নৈকট্য। রাত হলে আপনার খুব কাছাকাছি চলে আসতো। প্রায়ই ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখতাম আপনি চুপ করে আছেন ছাদের দিকে; জিজ্ঞেস করলেই বলতেন, শশশশশ্শশশশশশ্ ! চুপ আমি ঘড়িটার কথা শুনছি, কি বলে তাই। যতই রাত বাড়ে তার সাথে কথোপকথনে বুকের ভেতর খেলা করে আজনবী কেউ। আমি শুনতাম আর হাসতাম, বলতাম কি যে বলেন, ঘড়ি কি আর কথা বলতে পারে - আপনি বলতেন হ্যা, পারে। আমি প্রায়ই ঘড়িটার সাথে কথা বলি। আমার তখন নিজেকে বড় বেশি একা মনে হতো, মনে হতো আপনার পাশে থেকেও আমি নেই কিংবা আপনি আমার সাথে থেকেও আরো অনেক বেশি একা।
আপনি নেই আজকাল, ওপাশের জানালা তাই খোলা সবসময়; মলিন পর্দায় ধূসর রং হেটে গেছে বহুবার। কখনো কখনো সরে গেছে আলতো কিনারায় অথচ উষ্ণতায় লু হাওয়া ছুঁেয় যায় নি, হট বাথের কথা না হয় বাদ দিলাম। তবুও আপনি স্নাত হতেন ; চমকিত হতেন। ধীরে ধীরে খুলে দিতেন বঞ্চনার পান্ডুলিপি। প্রতিটি পাতার শেষে হয়তো আরেকটি পাতার শুরু, তবুও শেষ পাতায় এসে আপনি অদৃশ্য হতেন।
আপনি নেই আজকাল, ওপাশের জানালা তাই খোলা সবসময়; মলিন পর্দায় ধূসর রং হেটে গেছে বহুবার। কখনো কখনো সরে গেছে আলতো কিনারায় অথচ উষ্ণতায় লু হাওয়া ছুঁেয় যায় নি, হট বাথের কথা না হয় বাদ দিলাম। তবুও আপনি স্নাত হতেন ; চমকিত হতেন। ধীরে ধীরে খুলে দিতেন বঞ্চনার পান্ডুলিপি। প্রতিটি পাতার শেষে হয়তো আরেকটি পাতার শুরু, তবুও শেষ পাতায় এসে আপনি অদৃশ্য হতেন।
আপনি নেই ; আপনি আছেন । একটা সফেদ বাড়ীতে আছেন কিংবা ছাদহীন ঘরের অন্ধকারে।
ভাবছি, কতটা আছেন ........
(৩-১০-০৭ইং)
No comments:
Post a Comment